প্রতীকী ছবি।
শ্রীলঙ্কায় নির্মীয়মান চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের কাছে, দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে সমুদ্র লাগোয়া একটি বিমানবন্দর বানাতে চায় ভারত। এ ব্যাপারে কলম্বোর সঙ্গে দিল্লির কথাবার্তা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা।
চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের একটা বড় অংশের নির্মাণ কাজ চলছে শ্রীলঙ্কা দ্বীপের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে হামবানটোটায়। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রচুর বিনিয়োগ করেছে বেজিং। চিন সেখানে একটি সমুদ্র বন্দর বানিয়েছে। সেখানে একটি তেল শোধনাগার ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রও গড়ে তুলতে চাইছে চিন। সে ব্যাপারেও কলম্বো-বেজিং আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।
আরও পড়ুন- মুসলিম মেয়েদের জন্য মোদীর ‘গিফ্ট’: স্নাতক হয়ে বিয়ে করলে ৫১ হাজার
আরও পড়ুন- দাসনা জেলে রায়ের নথি পৌঁছনোর অপেক্ষায় তলোয়াররা, মুক্তি আজই
শ্রীলঙ্কার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা সোমবার বলেছেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই চাইছিলাম, হামবানটোটায় বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসুক আরও একটা দেশ। আর ভারতের প্রস্তাবটাও এসেছে একেবারে সঠিক সময়েই। কলম্বো বিমানবন্দর ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অ্যাভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে ভারত যৌথ উদ্যোগেও ওই বিমানবন্দর বানাতে রাজি।’’
তবে হামবানটোটায় কলম্বো যে ভারতের বিনিয়োগ টানতেও উৎসাহী, তা বেজিংয়ের জানা ছিল না বলে দাবি করেছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বেজিংয়ের বক্তব্য, তারাও হামবানটোটায় একটি বিমানবন্দর বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু আর্থিক ব্যাপারে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে মতৈক্য না হওয়ায় বেজিং সেই প্রকল্প থেকে পিছিয়ে যায়।
এখন ভারত সেখানেই বিমানবন্দর বানাতে চাওয়ায় ক্ষোভ গোপন রাখেনি বেজিং। তবে সরাসরি ভারত ও শ্রীলঙ্কার নামোল্লেখ না করে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘পারস্পরিক বিশ্বাস ও আঞ্চলিক দেশগুলির সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে প্রত্যেকটি দেশেরই সচেতন হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy