পাঠানকোটের বামিয়াল সীমান্তে টহল বিএসএফ জওয়ানদের। ছবি: পিটিআই।
জঙ্গি হামলার তিন দিন পরেও এখনও সেনা অভিযান চলছে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ সেনাকর্তারা। তাই মঙ্গলবারও তল্লাশি অভিযান জারি রাখা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জঙ্গিরা দুটো দলে ভাগ হয়ে এ দেশে ঢুকেছিল। প্রথম দলে ছিল দু’জন। আর দ্বিতীয় দলে চার জন। প্রথম দলটি নাকি আগে থেকেই এ দেশে ঢুকেছিল। চার জঙ্গি যখন গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার সলবিন্দর সিংহকে অপহরণ করে, সেই খবরের সত্যতা যাচাই করতে করতে অনেক সময় পার হয়ে যায়। তত ক্ষণে দুই জঙ্গি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে। পরে বাকি চার জন ওই দলের সঙ্গে যোগ দেয়। হামলা চালানোর আগে বায়ুসেনা ঘাঁটির বড় বড় ঘাসের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল ওই জঙ্গিরা।
এখন প্রশ্ন উঠছে ওই জঙ্গিদের ঢোকানোর পিছনে স্থানীয় কি কারও মদত ছিল? এমনকী, এত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কী ভাবে তারা ঢুকল? না কি আগে থেকেই জঙ্গিরা এ দেশে অস্ত্র পাচার করেছিল? যদি তা হয়ে থাকে, তা হলে ওই এলাকায় অস্ত্রের চোরাকারবার খুব সক্রিয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, “কখনওই এক সঙ্গে এত অস্ত্র জঙ্গিদের পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।”
এ দিকে, এই হামলার পিছনে যে পাক যোগ রয়েছে সে কথা জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছে ভারত। এমনকী প্রামাণ্য নথিপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের হাতে। জঙ্গিরা হামলার আগে যে পাকিস্তানে ফোন করেছিল, সেই কল রেকর্ডও তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানে যাদের কথা হয়েছিল তারা হল আশফাক আহমেদ, হাফিজ আব্দুল শাকুর এবং কাশি জান। এই প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতেই জইশ-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে ভারত। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তারা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ওই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে ভারতে সব রকম সহযোগিতা করবে পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy