হানিপ্রীত ইনসান
গত এক মাস ধরে ফেরার তিনি। হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। এখন তিনি কোথায় আছেন, তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর জল্পনা।
তবে এ বার সেই সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুব শীঘ্রই মিলবে বলে আশা সংবাদমাধ্যমের একাংশের। কারণ, ডেরা প্রধান গুরমিত রামরহিম সিংহের পালিতা কন্যা হানিপ্রীত শীঘ্রই আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু শর্তও দিয়েছেন হানিপ্রীত। সেই সব শর্তপূরণ হলেই ধরা দেবেন হানিপ্রীত।
দিন দুয়েক আগেই নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন হানিপ্রীত। তবে তা খারিজ করে দিয়ে আদালত তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। তার পর জামিনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল।
ঠিক তার পরেই হানিপ্রীতের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়েরাও তাঁকে আত্মসমর্পণ করার জন্য অনুরোধ জানান। সংবাদমাধ্যমের কাছে হানিপ্রীতের সম্পর্কিত ভাই বিজয় তানেজার আর্জি, ‘‘ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করো।’’ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে বিজয় দাবি করেন, ‘‘আমার বোনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যে। আমি ২০০২ সাল পর্যন্ত ডেরায় যেতাম। তখন দেখেছিলাম রাম রহিমের গুফার পাশে একটি বাংলোয় থাকত হানিপ্রীত।’’
হানিপ্রীতের আর এক ঘনিষ্ঠ অশোক বব্বরের কথায়, ‘‘রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের সম্পর্কের কথা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’’ যদিও গত ১৭-১৮ বছর হানিপ্রীতের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি বলেই দাবি করেছেন অশোক। কিন্তু হানিপ্রীতের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। এমনকী সিরসায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন অশোক। কিন্তু হানিপ্রীত উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে বেপাত্তা তাঁরাও।
গত মাসে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে ডেরা প্রধান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন হানিপ্রীত। গ্রেফতারি এড়াতেই এত দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হানিপ্রীত। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, পালিয়ে বেড়াতে বেড়াতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই কিছু শর্ত পূরণ করলেই তিনি আত্মসমর্পণ করবেন।
এ দিকে, গত শনিবারেই সাংবাদিক বৈঠকে প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত। এ বার সুরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়ে আজ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিশ্বাসের অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোনে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশ্বাসের নিরপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy