হানিপ্রীত ইনসান। —ফাইল চিত্র।
জোড়া ধর্ষণ মামলায় তখন সবেমাত্র গুরমীত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সেই খবর আদালতের বাইরে আসতে তাঁর ভক্তদের তাণ্ডবে মুহূর্তে উত্তাল হয়ে পড়েছিল পঞ্চকুলা। মৃত্যু হয় অন্তত ৩৬ জনের। ‘বাবা’র প্রতি ভক্তদের ভালবাসা থেকেই সে দিনের এই বিপুল জনরোষ বলে দাবি করা হয়েছিল ডেরার তরফে। গুরমীত গ্রেফতারির মাস খানেক পর হানিপ্রীত গ্রেফতার হওয়ার পর কিন্তু উঠে এল অন্য তথ্য। পুলিশের দাবি, সে দিনের তাণ্ডব শুধুই ‘বাবা’র প্রতি ভক্তদের প্রেম ছিল না। এর মধ্যে লুকিয়ে ছিল টাকার-খেলা। পুলিশের অভিযোগ, পালক পিতাকে বাঁচানোর জন্য হিংসা ছড়াতে কোটি টাকা খরচ করেছিলেন হানিপ্রীত। খোদ রাম রহিমের নির্দেশেই নাকি সেই টাকা এসেছিল ডেরার অ্যাকাউন্ট থেকে। রাম রহিমের গাড়ির চালক তথা ব্যক্তিগত সহায়ক রাকেশ কুমারকে জেরার পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে এসেছে বলে দাবি করেন পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা।
৩৮ দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর গত ৩ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন হানিপ্রীত। টাকা দিয়ে হিংসা ছড়ানোর প্রশ্নে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিচ্ছেন না বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় তাঁর নার্কো পরীক্ষার আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: হানিপ্রীতকে গ্রেফতারে কেন এত সময় লাগল?
হানিপ্রীত গ্রেফতারির দিন কয়েক আগে গ্রেফতার হন রাম রহিমের গাড়ির চালক তথা ব্যক্তিগত সহায়ক রাকেশ কুমার। জোড়া ধর্ষণ মামলার শুনানি চলাকালীন গুরমীত এবং হানিপ্রীত দু’জনকেই সঙ্গ দিতেন এই রাকেশ। ২৬ অগস্ট অর্থাৎ গুরমীতের সাজা ঘোষণার পর দিনই রোহতক থেকে হানিপ্রীতকে সিরসায় সরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি। তারপরও হানিপ্রীতকে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সাহায্য করেন রাকেশ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাকেশ গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করে পুলিশ হানিপ্রীত সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারে। পুলিশের দাবি, জেরায় রাকেশ জানিয়েছেন, সে দিন হিংসা ছড়ানোর জন্য ডেরা পঞ্চকুলা শাখার প্রধান চমকৌর সিংহের হাতে হানিপ্রীত সওয়া কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আর বেশি কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy