Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কোথায় হানিপ্রীত? জেরবার পুলিশ

পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা আজ জানিয়েছেন, ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাসস্টপ ও রাজ্য থেকে বেরনোর অন্যান্য চেক-পয়েন্টগুলোকে হানিপ্রীতের বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ।

সুসময়ে: ‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীত ইনসান। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

সুসময়ে: ‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীত ইনসান। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০০
Share: Save:

ধর্ষক বাবার সাজা ঘোষণার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তাঁর ‘দত্তক কন্যা’ হানিপ্রীত ইনসান। তাঁর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে হরিয়ানা পুলিশ। পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা আজ জানিয়েছেন, ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাসস্টপ ও রাজ্য থেকে বেরনোর অন্যান্য চেক-পয়েন্টগুলোকে হানিপ্রীতের বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ।

দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ অগস্ট গুরমিত রাম রহিম সিংহকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ বার হানিপ্রীতের নামেও দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হল। বলা হচ্ছে, সাজা ঘোষণার দিনই পঞ্চকুলা আদালত থেকে বাবাকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন হানিপ্রীত। রাম রহিমের ডেরা সচ্চা সৌদার আর এক পাণ্ডা আদিত্য ইনসানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডেরা-অনুগামী ধীমান ইনসানকে আটক করেছে পুলিশ।

হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয় আদালতে তাঁর হাতে একটি লাল ব্যাগ দেখে। পুলিশের ধারণা, ওই লাল ব্যাগই ছিল গণ্ডগোল শুরু করতে বলার সঙ্কেত। রোহতক জেলে যে চপারে বাবাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাতেও চেপে বসেছিলেন হানিপ্রীত। রোহতক পৌঁছে জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝগড়াও করেন ‘পাপা কি পরি’। দাবি ছিল, বাবার সঙ্গে তাঁকেও জেলে থাকতে দিতে হবে। বাবাও তাঁর সেলেই হানিপ্রীতকে থাকতে দিতে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন। বলেন, হানিপ্রীত এক জন আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ। বাবা নাকি বহু দিন পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। হানিপ্রীত থাকলে তাঁর সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন: ‘কী ভুল করেছি আমি?’ সারা রাত সেলের ভিতরে কাঁদছেন রাম রহিম

পালানোর ছক ও সঙ্গে থাকার আবদার দুই বিফলে গেলে হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে যান হানিপ্রীত। রাম-রহিম জেলে যাওয়ার দিন থেকেই তাঁর নেই। বাবা-কাণ্ডে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসক মহল সব জায়গায় প্রশ্ন উঠছিল— বিপদের গন্ধ পেয়েই কোনও গোপন আস্তানায় লুকিয়ে পড়লেন তিনি?

শুক্রবারই রোহতকের জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়েছেন দলিত নেতা স্বদেশ কিরাদ। তিনি বলেছেন, জেলে প্রথম রাত থেকেই কান্নাকাটি করছেন ৫০ বছর বয়সি বাবা। বলছেন, ‘‘রব্বা, মেরা ক্যা কসুর হ্যায় (ভগবান, আমার দোষ কী)!’’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের খবর, ধর্ষণ মামলায় জেল খাটলেও, পদ্ম সম্মানের জন্য রাম রহিমের নাম সুপারিশ করেছেন ৪,২০৮ জন। অবশ্য, ‘রকস্টার গুরু’ পাঁচ বার নিজেই নিজের জন্য পদ্মসম্মান দাবি করেছিলেন!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE