গুরমিত রাম রহিম। ফাইল চিত্র।
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেই আসামি রাম রহিমকে ছিনতাই করে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আর তার পর সোজা হিমাচল প্রদেশ। সেখানেই লুকিয়ে রাখা হবে ‘বাবা’কে। আদালতে পৌঁছনোর আগে এমন ষড়যন্ত্রই কষেছিল রাম রহিম অ্যান্ড কোম্পানি। দাবি হরিয়ানা পুলিশের। স্বয়ং রাম রহিম, তার ‘পালিতা কন্যা’ হানিপ্রীত তো বটেই, গোটা পরিকল্পনার অংশীদার ছিল রাম রহিমের জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হরিয়ানা পুলিশের কম্যান্ডোরাও।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের বিজ্ঞাপনের আড়ালে ক্ষোভের সুর
গত ২৫ অগস্ট ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ। পঞ্চকুলা আদালত থেকেই তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সব রকম বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল রাম রহিমের সাগরেদরা। আর এ কাজে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল রাম রহিমের কম্যান্ডোরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল আদালত চত্বর থেকে ‘বাবা’কে নিয়ে পালিয়ে পঞ্জাব হয়ে একটা সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নেওয়া। আর সেই সুরক্ষিত জায়গাই নাকি হিমাচল প্রদেশ।
আরও পড়ুন: প্রদ্যুম্ন হত্যা রহস্য ভেদ করার ভার পেল সিবিআই
হিমাচল প্রদেশকে কেন সুরক্ষিত জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছিল রাম রহিম? এ প্রসঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে রাম রহিমের প্রচুর ভক্ত আছেন। ফলে গা ঢাকা দেওয়ার মতো জায়গা পাওয়ার কোনও অসুবিধাই হত না তার। যদিও সে দিন পুলিশের তত্পরতায় গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১২ জন পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫ জনকে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয়। পঞ্চকুলার ডিসিপি মানবীর সিংহ জানান, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জন কম্যান্ডো এবং রাজস্থান পুলিশের এক কর্মীকে তাঁরা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত ছক জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের। মানবীর আরও জানান, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, এবং কারা সে দিন পঞ্চকুলায় হিংসা ছড়ানোয় মদত দিয়েছিল, সে বিষয়কেও আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy