জুটি: গুরমিত, হানিপ্রীত।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, ‘‘এই যে আপনারা আমাকে দেখলেন, এর পরে আর দেখবেন কি না জানি না।’’ ভয় পাচ্ছেন বিশ্বাস গুপ্ত। মৃত্যুভয়। তিনি বলছেন, ‘‘গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিশাল ক্ষমতা। তা যতই লোকটা জেলে থাকুক না কেন।’’
কে এই বিশ্বাস গুপ্ত? ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের দত্তক কন্যা হানিপ্রীত ইনসানের প্রাক্তন স্বামী। আজ যিনি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেই দিলেন, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক আসলে ভাঁওতা। বললেন, ‘‘গুরমিতের সঙ্গে একই বিছানায় শুত হানিপ্রীত। ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আমি ‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি।’’
সিরসায় ডেরা-সাম্রাজ্যে ‘বাবার গুফা’য় কী ধরনের কাজকর্ম চলত, তা নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছে গুরমিত জেলে যাওয়ার পরে। আজ বিশ্বাস দাবি করেছেন, ওই গুফাতেই তিনি এবং হানিপ্রীত-সহ ছ’জোড়া ছেলেমেয়েকে কাটাতে হয়েছিল ২৮ দিন। কেন? কারণ, ‘বাবা’ নাকি তখন টিভির রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এর আদলে নিজের গুফায় একই ধরনের একটি খেলা চালু করেছিল। ওই ১২ জন ছিলেন প্রতিযোগী।
আরও পড়ুন: ওয়াগন চোর কে, তদন্তে সিবিআই
তবে বিশ্বাস বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ‘খেলার’ সময়টুকু বাদ দিলে গুরমিতের গুফায় তাঁর বিশেষ প্রবেশাধিকার ছিল না। বরং হানিপ্রীত যখন গুরমিতের ঘরে যেতেন, তখন তাঁকে বার করে দেওয়া হতো। আর হুমকি দেওয়া হতো মুখ বন্ধ রাখার জন্য। বিশ্বাসের কথায়, ‘‘গুরমিত আমাকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল। হানিপ্রীতকে মোটেই আইনি পথে দত্তক নেওয়া হয়নি। বরং ২০০৯ থেকে হানিপ্রীতই ছিল বকলমে গুরমিতের বৌ।’’
দু’জনের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেই ২০১১ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন বিশ্বাস। ডেরা থেকে চলে আসেন পঞ্চকুলার সেক্টর ১৫-র বাড়িতে। বিশ্বাসের অভিযোগ, এর পরেও তাঁর উপরে সর্বক্ষণ নজর রাখত গুরমিতের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত পণের ‘ভুয়ো’ মামলায় জড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy