Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
গুজরাত ভোটে বিজেপি

প্রথম দফার প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হল না

গুজরাতের গোন্ডল আসনে বর্তমান বিধায়ক জয়রাজসিংহ জাডেজা-র স্ত্রী গীতাবার নাম শনিবার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই বিরোধীরা তাই নড়ে বসেছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৯
Share: Save:

বিধায়ক স্বামী খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেল খাটছেন। টিকিট পেলেন তাঁর স্ত্রী। যে বিজেপি এত দিন রাবড়ী দেবীকে তখতে বসানোর জন্য লালুপ্রসাদের সমালোচনা করত, কার্যক্ষেত্রে তারা সেই পদাঙ্কই অনুসরণ করল।

গুজরাতের গোন্ডল আসনে বর্তমান বিধায়ক জয়রাজসিংহ জাডেজা-র স্ত্রী গীতাবার নাম শনিবার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই বিরোধীরা তাই নড়ে বসেছেন।

গত কাল ৭০টি ‘নিরাপদ’ আসনের পর আজ আরও ৩৬টি আসন ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের ৮৯টি আসনের মধ্যে এখনও ২৯টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা বাকি রইল। টিকিট পাওয়া নিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি ছাড়ার ঢলও শুরু হল।

কংগ্রেস অবশ্য আগেই জানিয়েছে, রবিবার তারা আসন ঘোষণা করবে। শরদ পওয়ার ও শরদ যাদবের সঙ্গে তাদের আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। শুক্রবার রাতে হার্দিক পটেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও রফা হয়নি। এ দিন সকালে অবশ্য হার্দিক নিজেই বলেন, একটু বোঝাপড়ার অভাব ছিল। দু’-একদিনে মিটে যাবে।

প্রথম তালিকায় তেমন কাঁচি না চললেও বিজেপির দ্বিতীয় তালিকায় বাদ পড়েছেন দশ জনেরও বেশি বিধায়ক। এমনকী মন্ত্রীরও টিকিট কাটা গিয়েছে। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে রাজ্যে বিজেপির সংসদীয় সচিব জেঠাভাই সোলাঙ্কি ক্ষোভে পদত্যাগ করেছেন। যে বিধায়কদের টিকিট কাটা গিয়েছে, তাঁরাও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছেন। বিজেপি ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিল। সে কারণেই স্পর্শকাতর আসনগুলি আরও রয়েসয়ে ঘোষণা করতে চাইছে তারা। কংগ্রেস নিজের তাস না খেলায় লড়াইয়ের আসনগুলি এখনও ধরে রাখা হয়েছে।

তবে হার্দিককে দুর্বল করতে তাঁর দল ভাঙার কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এর আগে হার্দিকের তিন বড় নেতাকে বিজেপিতে সামিল করানো হয়েছে। আজ কেতন ও অমরীশ পটেলকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়। যদিও কংগ্রেসের মতে, এতে কোনও ফারাক পড়বে না। বিজেপির বিরুদ্ধে পাতিদারদের ক্ষোভ প্রবল। তার মধ্যে কিছু নেতা চলে গেলে বড় কোনও ক্ষতি হবে না। কংগ্রেসের সমস্যা অন্য— শরদ পওয়ার ২০টি আসন চেয়ে বসেছেন। আর শরদ যাদব ৮টি আসন চান।

অহমেদ পটেলের রাজ্যসভা নির্বাচনে পওয়ারের দলের কোনও বিধায়ক কংগ্রেসকে ভোট দেননি। এনসিপি দাবি করে, তাদের দুই বিধায়কের মধ্যে একজন ভোট দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস মনে করে, সেই বাড়তি একটি ভোট ছিল শরদ যাদবের অনুগামী বিধায়কের। সেই ঘটনার পর থেকে পওয়ারের সঙ্গে কংগ্রেসের একটি আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস তাই এত আসন ছাড়তে রাজি নয় এনসিপিকে। কাকে কত আসন ছাড়া হবে, তাই নিয়ে আজও কংগ্রেস রাত অবধি বৈঠক করে দিল্লিতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE