প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে দাঁড়িয়েই রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করে বোঝাতে চাইলেন, বিজেপির আর ‘মোদী ম্যাজিক’-এ ভরসা নেই। সেইসঙ্গে রাফাল চুক্তি ও জয় শাহের দুর্নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন তিনি। দাবি করলেন, গুজরাত ভোটের আগে এই দুই প্রশ্নে বিতর্ক এড়াতে চান নরেন্দ্র মোদী। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি গুজরাতে নির্বাচনী প্রচারে জাদুকরদের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘এ নিয়ে খবর পড়়ে প্রথমে ভাবলাম বিজেপিতেই তো এক জন বিশেষ জাদুকর রয়েছেন। তাহলে আর জাদুকর আনতে হচ্ছে কেন? পরে মনে হল বিশেষ জাদুকরের জাদুতে আর হয়তো ভরসা নেই বিজেপির। তাই নয়া জাদুকর আনতে হচ্ছে।’’ রাহুলের দাবি, নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেবল ‘জাদুর খেলা’ই দেখিয়ে গিয়েছেন। কাজের কাজ করেননি। আজ রাফাল নিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রথমত, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার দ্বিতীয় চুক্তিতে দাম বাড়ানো হয়েছিল কি না? দ্বিতীয়ত, ভারতে রাফাল বিমান তৈরির জন্য ফরাসি সংস্থার সঙ্গে যে শিল্পপতিকে (অনিল অম্বানী) যৌথ উদ্যোগ তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে তাঁর বিমান তৈরির অভিজ্ঞতা আছে কি না? তৃতীয়ত, এই চুক্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল কি না? রাহুলের বক্তব্য, ‘‘যদি প্রক্রিয়াই মানা হবে তাহলে চুক্তির সময়ে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোয়ায় গিয়ে মাছ ধরছিলেন কেন?’’ তাঁর দাবি, ‘‘মোদী নিজেই ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল নিয়ে চুক্তি পরিবর্তন করেছিলেন।’’
রাহুলের দাবি, রাফাল চুক্তি ও জয় শাহের দুর্নীতি নিয়ে গুজরাত ভোটের আগে বিতর্ক এড়াতে চায় সরকার। তাই নভেম্বরের বদলে গুজরাত ভোটের পরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ডাকা হচ্ছে।
বিজেপির পাল্টা দাবি, রাফালের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মানা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। তখন ভারত ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। নির্মলার দাবি অনুযায়ী, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর রাফাল চুক্তির কথা অনেক আগে থেকেই জানতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy