ঘোষণার আগে তখনও চলছে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
অবশেষে এক পদ এক পেনশন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
শনিবার দুপুরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর প্রকল্পটি চালু করে বলেন, “৪০ বছর ধরে প্রকল্পটি পড়ে ছিল। মোদী সরকারই তা চালু করল।”
তবে তাঁদের বেশির ভাগ দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রস্তাবটি মেনে নেননি আন্দোলনকারীরা। ফলে প্রকল্প চালু হলেও সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হল না।
সপ্তাহখানেক পরে বিহার বিধানসভার দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার পর নির্বাচনী আচরণ বিধির আওতায় পড়ে যাওয়ায় আর কোনও ঘোষণা করতে পারবে না কেন্দ্র। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টির নিষ্পত্তি চাইছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবং সে জন্যই এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিল তারা।
সরকারের দেওয়া প্রস্তাবে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন সেনাকর্মীরা। চলতি বছরের জুলাই থেকে নতুন প্রস্তাব কার্যকর করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। পাঁচ বছর অন্তর পেনশন পুনর্বিন্যাস করতে কমিশন নিয়োগের সুপারিশও রয়েছে নতুন প্রস্তাবে। আর এই বিষয়গুলিতেই আপত্তি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
‘এক পদ এক পেনশন’ কী?
এক পদ এক পেনশন: যেখানে আপত্তি
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, “২০১৩ সালের ভিত্তিতে প্রকল্পটি চালু হবে। এরিয়ারের টাকা দেওয়া হবে চারটি কিস্তিতে। এর ফলে সরকারের অতিরিক্ত ৮-১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।”
প্রকল্প চালু করা নিয়ে খুশি হলেও কেন্দ্র তাঁদের দাবিগুলির বেশির ভাগই না মানায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। সেনাকর্মীদের সংগঠনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সতবীর সিংহ বলেন, “সরকার এক তরফা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। এবং তাতে আমাদের বেশির ভাগ দাবিই মানা হল না। স্বার্থ বিরোধী এই প্রস্তাব মানার প্রশ্নই নেই। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পেনশন পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে সরকারি প্রস্তাবে। এটা দু’বছর অন্তর করতে হবে। তা ছাড়া প্রকল্পটি জুলাইয়ের বদলে ৩১ মার্চ থেকে চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাত্র ৩০ কোটি টাকা সরকারকে বেশি দিতে হবে। যে সরকার লোকসভার ক্যান্টিনে ৬০ কোটি ভর্তুকি দিতে পারে, তাদের কাছে এটা কোনও বিষয়ই নয়। এবং প্রস্তাবে অবশ্যই স্বেচ্ছাবসরকারীদের রাখতে হবে। তবে অবশেষে প্রকল্পটি চালু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ।” তবে আন্দোলন এখনও চলবে বলেই জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy