প্রতীকী ছবি
বয়স মাত্র ৬ ঘণ্টা। মায়ের কোলের ওমে যে শিশুর থাকার কথা ছিল তাকে পাওয়া গেল গরম বালির গর্তে। তখন ছিন্ন হয়নি নাড়ি।
রবিবার এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার জাজপুরে। হঠাত্ই এক পথচারীর নজরে পড়ায় প্রাণ বেঁচে যায় ওই সদ্যোজাত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কাটা হয় নাড়ি। এখন আপাতত হাসপাতালেই কড়া নজরদারিতেই রয়েছে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা নবজাতিকা।
জাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ফণীন্দ্র কুমার পাণিগ্রাহী বলেন, ‘‘শিশুটির ওজন আড়াই কেজি। স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার জন্যই ওকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালে আসার সময় ওর নাড়ি অক্ষত ছিল। গোটা দেহ জন্মের ক্লেদে মাখামাখি। বোঝা যাচ্ছে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়া মাত্রই তাকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। নাড়ি কাটা বা পরিষ্কার করার প্রয়োজনটুকুও অনুভব করেনি আপনজনেরা। ’’
হাসপাতালেই শিশুটির নামকরণ করা হয়েছে ধরিত্রী। হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্যের এক শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে।
পুলিশের অনুমান, হয় কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে অথবা অবিবাহিত মায়ের সন্তান হওয়ার কারণে শিশুটিকে এই চরম পরিণতির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
২০১১ সালের সুমারি অনুযায়ী দেশে প্রতি হাজার পুরুষের অনুপাতে মহিলার সংখ্যা মাত্র ৯৪০। অর্থাত্, একবিংশ শতকে নারী:পুরুষের অনুপাতের বৈষম্য নিয়ে এখনও ধুঁকছে ভারত।
আরও পড়ুন: মাংসের আকালে নাকাল লখনউ
ওড়িশার এই ঘটনা কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। চলতি মাসের গোড়াতেই রাজধানী থেকে প্লাস্টিকে মোড়া ১৯টি কন্যাভ্রূণ সহ এক চিকিত্সককে গ্রেফতার করা হয়। গত সোমবার দিল্লিতেই কুকুরে খোঁড়া একটি গর্তের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় কন্যাভ্রূণ।
২০১১ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট অনুযায়ী ভারতে গত তিন দশকে ১ কোটি ২০ লক্ষ কন্যাভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy