সে রাজ্যের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার গীতা।
গুজরাতের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার তিনি। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের প্রথম মহিলা পুলিশ প্রধানও হলেন তিনি, গীতা জোহরি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষের মামলায় অভিযুক্ত আইপিএস পি পি পাণ্ডেকে গুজরাতের ডিজি-র পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে গত কাল। আজ সেই পদে ১৯৮২ ব্যাচের আইপিএস গীতার নাম ঘোষণা করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতাপসিন জাডেজা। এখন গুজরাত পুলিশ আবাসন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন গীতা।
আরও পড়ুন: লালুর জমির মাটি কিনেছে চিড়িয়াখানা: বিজেপি
এক সময়ে গুজরাতের ‘ত্রাস’ মাফিয়া ডন ও রাজনীতিক আব্দুল লতিফের সহযোগী শরিফ খানকে গ্রেফতার করে শোরগোল ফেলেছিলেন গীতা। তবে ২০০৫ সালের সোহরাবুদ্দিন শেখ ও তাঁর স্ত্রী কৌসরবাইয়ের ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যুর মামলাতেই গীতার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০০৬ সালে ওই সংঘর্ষ নিয়ে সিআইডি-র পক্ষে তদন্ত করেন গীতাই। তার পরেই পুলিশ জানায়, ভুয়ো সংঘর্ষে সোহরাবুদ্দিন ও কৌসরবাইকে হত্যা করা হয়েছে। এর পরে তদন্তের দায়িত্ব যায় ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল রজনীশ রাইয়ের হাতে। রজনীশ ওই মামলায় তিন আইপিএস অফিসার ডি জি বানজারা, রাজকুমার পান্ডিয়ান ও দীনেশ এম এনকে গ্রেফতার করায় নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। ফের তদন্তের ভার দেওয়া হয় গীতাকে। গীতা আবার গ্রেফতার করেন ডেপুটি পুলিশ সুপার এন কে আমিনকে। কিন্তু আমিনের জবানবন্দি রেকর্ড না করায় বিতর্কে জড়ান তিনি। দায়রা আদালতে গীতার নেতৃত্বাধীন দলের দেওয়া চার্জশিটেও বিস্তর গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত যায় সিবিআইয়ের হাতে। ঠিক মতো তদন্ত না চালানোর জন্য সিবিআই গীতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২০১৫ সালে তাঁকে ওই মামলা থেকে মুক্তি দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য হিসেবে গীতার ভূমিকারও সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। এক সময়ে তাঁকে ওই তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy