এই প্রথম নয়। এর আগেও জেল ভেঙে পালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।
রবিবার গভীর রাতে ভোপালের সেন্ট্রাল জেল ভেঙে যে আট সিমি জঙ্গি পালিয়েছে তাদের ছবি ও নাম প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তাদের মধ্যে চার জন ২০১৩-য় খান্ডোয়া জেল ভেঙে পালিয়েছিল। ওই সময় মোট সাত সিমি জঙ্গি পালায়। এর পর বিচারাধীন বাকি জঙ্গিদের ভোপালের সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। কারণ, ওই ঘটনার পর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রাজ্য প্রশাসন। সেন্ট্রাল জেলের নিরাপত্তা অনেক বেশি আটোসাঁটো। যে সাত সিমি জঙ্গি পালিয়েছিল তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে পরে ফের গ্রেফতার করা হয়। বাকি দু’জন এ বছরের প্রথমেই তেলঙ্গানায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়।
যে নিরাপত্তার জন্য ভোপাল সেন্ট্রাল জেলে কুখ্যাত এই জঙ্গিদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, সেই জেল ভেঙে কী ভাবে পালাল আট জঙ্গি? শুরু হয়েছে তোলপাড়। এর সঙ্গে জেলের ভিতরের কারও যোগ ছিল কিনা তা নিয়েও শুরু হবে তদন্ত। তবে আপাতত, জঙ্গিদের খোঁজে পুরো মধ্যপ্রদেশ এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
যে আট জঙ্গি পালিয়েছে তারা হল—মুজিব শেখ, মজিদ, আকিল, খালিদ, জাকির, মেহবুব শেখ, আমজাদ এবং মহম্মদ শালিক। পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে তিন জন খান্ডোয়া জেল ভেঙে পালিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের সবচেয়ে মাথাব্যথা ও চিন্তার কারণ ওই চার কুখ্যাত জঙ্গি।
উপরে বাঁ দিক থেকে আট জঙ্গি: আকিল, মহম্মদ শালিক, মহম্মদ খালিদ, মুজিব শেখ,
আব্দুল মজিদ, জাকির হুসেন সাদিক, আমজাদ, মেহবুব গুড্ডু।
২০১৩-য় যে দলটি খান্ডোয়া জেল ভেঙে পালিয়েছিল, তারা উত্তর ভারত, মধ্য ভারত ও দক্ষিণ ভারতে সক্রিয় নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল। ২০১৪-য় চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন, পুণে এবং উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।
২০০২-এ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া (সিমি)-কে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। তার পর থেকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামে সংগঠন তৈরি করে সিমির স্লিপার সেল সেই ছাতার তলায় কাজ করতে শুরু করে। গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত থেকে বেশ কয়েক জন সিনি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু সিমি প্রধান সফদল নাগৌরি সহ ৭০ জন সিমি জঙ্গি এখনও বেপাত্তা।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy