Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরে পাঁচ পুলিশ খুন করে ৫০ লক্ষ লুঠ করল জঙ্গিরা

পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ সাত জনকে সোজা গুলি। তার পরে তাদের দেহ ফেলে রেখে ভ্যান থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট।

কড়া প্রহরা। ছবি: পিটিআই।

কড়া প্রহরা। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৭ ০৩:১৭
Share: Save:

পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ সাত জনকে সোজা গুলি। তার পরে তাদের দেহ ফেলে রেখে ভ্যান থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট।

দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে সোমবার বেলা তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সরকারি জম্মু ও কাশ্মীর ব্যাঙ্কের টাকাভর্তি ওই ভ্যানটিও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে জঙ্গিরা। কোনও গোষ্ঠী এখনও দায় স্বীকার না করলেও পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, এই ঘটনায় হাত রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের। এ দিনই ফের দুই ভারতীয় সেনা জওয়ানকে মেরে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (ব্যাট)-এর বিরুদ্ধে।

কাশ্মীরে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় জঙ্গি হামলা। কুপওয়ারায় গত সপ্তাহেই সেনাশিবিরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ হারান তিন জওয়ান। দক্ষিণ কাশ্মীরের ডিআইজি এস পি পানি বলেছেন, ‘‘সোমবার কুলগামের পুমবাইয়ে ক্যাশভ্যান থামিয়ে দেয় জঙ্গিরা। তাদের পরনে ছিল সেনার পোশাক। পুলিশকর্মী ছাড়াও ভ্যানে ছিলেন ব্যাঙ্কের দুই অফিসার। সবাইকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় জঙ্গিরা। ৫০ লক্ষ টাকা লুঠের পরে গুলি করে মারে তাদের। পুলিশকর্মীদের চারটি রাইফেলও নিয়ে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাত জনের।’’ এলাকার বিভিন্ন শাখায় নগদ টাকা দিতে দিতে শোপিয়ান থেকে কুলগামের দিকে যাচ্ছিল ভ্যানটি।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ভয়ঙ্কর ২৪ ঘণ্টা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে দুই জওয়ানকে মেরে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরে ৫ পুলিশকর্মী এবং দুই ব্যাঙ্ককর্মীকে গুলি করে মারা হয়েছে।’’

বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে। বার বার আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। গত বছর ডিসেম্বর থেকে বেশ কয়েক বার ব্যাঙ্কে হানা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দু’দিন আগেই অনন্তনাগে একটি ব্যাঙ্কে লুঠপাট চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Kashmir Terrorism Robbery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE