—ফাইল চিত্র।
কার্গিল যুদ্ধের সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার নিশানায় এসে পড়েছিলেন নওয়াজ শরিফ ও পারভেজ মুশারফ। কিন্তু বায়ুসেনা কর্তাদের নির্দেশে যে শিবিরে শরিফ-মুশারফ ছিলেন, সেখানে হামলা চালাননি ভারতীয় পাইলট।
তবে প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা কর্তাদের দাবি, ওই শিবিরে যে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান মুশারফ ছিলেন, তা তাঁদের জানা ছিল না। বিষয়টি পরে জানা যায়। ভুল লক্ষ্যবস্তু বাছা হয়েছে আঁচ করেই সে সময় তাঁরা হামলা না চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একটি সংবাদপত্রের দাবি, তখন বায়ুসেনার জাগুয়ার বিমান ‘ককপিট লেসার ডেজিগনেশন সিস্টেম’ (সিএলডিএস) নামে একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু স্থির করত। কিন্তু কেবল মাত্র যে জাগুয়ার বিমানগুলিতে পাইলটদের প্রশিক্ষণ হতো সেগুলিতেই সিএল়ডিএস বসানো ছিল। ফলে অনেক ক্ষেত্রে প্রথমে একটি বিমান উড়ে গিয়ে লেসার রশ্মির সাহায্যে লক্ষ্যবস্তু স্থির করত। পরে অন্য একটি বিমান ওই রশ্মির পথ ধরে হামলা চালাত। ১৯৯৯ সালের ২৪ জুন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পয়েন্ট ৪৩৮৮ এলাকার উপরে হামলা চালানোর কথা ছিল দু’টি জাগুয়ারের। প্রথম জাগুয়ারের লেসার রশ্মির পথ ধরে দ্বিতীয় বিমানটি হামলা চালানোর দিকে এগোয়। কিন্তু লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে বড় একটি সেনা শিবির দেখে দ্বিতীয় বিমানের পাইলটের সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি প্রথম বিমানের পাইলট এবং বায়ুসেনার ওয়েস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডকে জানান। প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এ কে সিংহ তখন ওই এলাকা দিয়েই অন্য বিমানে যাচ্ছিলেন। তিনি ওই শিবিরে হামলা না চালানোর নির্দেশ দেন। একই নির্দেশ দেন ওয়েস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের তৎকালীন এয়ার অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ বিনোদ পাটনিও।
আরও পড়ুন:সাক্ষাতে সৌজন্যের রাজনীতি
পরে জানা যায়, দ্বিতীয় জাগুয়ারের নিশানায় চলে এসেছিল নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক সেনার অন্যতম ঘাঁটি গুলতারি। ওই ঘটনার সময়ে গুলতারিতে হাজির ছিলেন নওয়াজ শরিফ ও পারভেজ মুশারফ।
এয়ার মার্শাল সিংহ ও এয়ার মার্শাল পাটনি জানিয়েছেন, শরিফ এবং মুশারফ যে ওই শিবিরে আছেন, তা তাঁরা জানতেন না। তবে জাগুয়ার বিমানটির নিশানায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারের কোনও পাক শিবির এসে পড়েছে আঁচ করেই তাঁরা হামলা না করার নির্দেশ দেন। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা না করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy