Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

আছে ব্ল্যাকবোর্ড, হয়ে যাবে ডিজিটাল

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট ঘোষণায় স্বাস্থ্যের মতো কোনও চমক নেই। তবে, নতুন কয়েকটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব রাখা হল। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হল শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা উন্নয়নে।

‘‘খুব দ্রুতই ব্ল্যাকবোর্ড বদলে যাবে ডিজিটাল বোর্ডে’’, বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

‘‘খুব দ্রুতই ব্ল্যাকবোর্ড বদলে যাবে ডিজিটাল বোর্ডে’’, বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:০৯
Share: Save:

ডিমনিটাইজেশনের ঘোষিত লক্ষ্য (কালো টাকা)-কে জনতার চোখ থেকে ডিফোকাসড করতে, ডিজিটাল-ডিজিটাল ধ্বনি তুলেছিল মোদী-জেটলি জুটি। যে দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই, সেখানে ডিজিটাল লেনদেনের সরকারি রব নিয়ে ব্যাঙ্গবিদ্রুপ যে খানিক হবে তা বলাই বাহুল্য। হয়েওছিল তাই। এ বার বাজেটে, ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ড উঠিয়ে দিয়ে ডিজিটাল বোর্ড বসানোর স্বপ্ন দেখালেন অরুণ জেটলি। যদিও দেশের কত শতাংশ ক্লাসরুমে এখনও ব্ল্যাকবোর্ডই নেই, সে হিসেবটা তিনি দেননি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট ঘোষণায় স্বাস্থ্যের মতো কোনও চমক নেই। তবে, নতুন কয়েকটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব রাখা হল। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হল শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা উন্নয়নে।

বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘প্রতি তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য অন্তত একটি করে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে। উপজাতি এলাকার জন্য তৈরি হবে একলব্য বিদ্যালয়।’’ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে এ দিনের বাজেটে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে, গুজরাতে বদোদরায় নতুন রেলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

এ বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তা ছাড়া, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটও রয়েছে। তাকেই পাখির চোখ করে, কৃষি এবং গ্রামোন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এ বারের বাজেটে। চমক রয়েছে স্বাস্থ্য খাতেও। কিন্তু, নতুন শিক্ষানীতির ঘোষণা এ বারেও অধরা থেকে গেল। তবে স্কুলগুলিকে ঢেলে সাজার প্রস্তাব রাখা হয়েছে এ বারের বাজেটে। তার জন্য আগামী চার বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে যার নাম আরআইএসই (রিভাইটালাইজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন স্কুল এডুকেশন)।’’

আরও পড়ুন:

বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমার ঘোষণা

২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব বাজেটে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি, শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নেও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ‘রাইট টু এডুকেশন’ (আরটিই)-এর অধীনে লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় প্রয়োগ করা হবে নতুন টেকনোলজি। জেটলি বলেছেন, ‘‘খুব দ্রুতই ব্ল্যাকবোর্ড বদলে যাবে ডিজিটাল বোর্ডে।’’

গত তিন বছর বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে শামুকের গতিতে। সর্বশিক্ষা অভিযানের জন্য যা প্রয়োজন, মিলেছে তার তুলনায় নেহাতই সামান্য। গত এক দশকে শিক্ষা খাতে সামগ্রিক বরাদ্দের পরিমাণ মোট খরচের ৩.৫ থেকে ৪ শতাংশ। গত বছর সেটা ছিল ৩.৭ শতাংশ। ২০১৭-১৮ বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছিল মোট ৭৯,৬৮৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে, স্কুলগুলির জন্য প্রায় ৪৬,৩৫৬ কোটি এবং বাকিটা উচ্চশিক্ষার খাতে বরাদ্দ করা হয়। ২০১৬-১৭ সালে সর্বশিক্ষা অভিযানের জন্য চাওয়া হয়েছিল ৫৫ হাজার কোটি। শেষমেশ জুটেছিল ২২,৫০০ কোটি। তার এক-তৃতীয়াংশও খরচ হয়নি!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE