প্রতীকী ছবি।
তাঁদের দাম্পত্য সর্বসাকুল্যে ২০ দিনের। আর সেই দাম্পত্য থেকে ‘মুক্তি’ পেতে কেটে গেল দীর্ঘ ২০ বছর! অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই হয়েছে তিরুমূর্তি-সুভাষিণী দেবীর সঙ্গে।
তিরুমূর্তি এবং সুভাষিণী দু’জনেরই বাড়ি দিল্লিতে। ১৯৯৮ সালে খবরের কাগজে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। বিয়ের পর আর পাঁচ জনের মতো মধুচন্দ্রিমাতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন দু’জনে। ঠিক হল উটি যাওয়ার। কিন্তু সে যাত্রা সুখের হল না। উটি থেকেই গ্রেফতার হলেন বছর উনত্রিশের নববধূ সুভাষিণী। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লিতে নিয়ে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল। দিল্লি এসে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তিরুমূর্তি জানতে পারেন যে, সুভাষিণী গর্ভবতী। এ দিকে অভিযোগের ভিত্তিতে তখন সুভাষিণীকে গ্রেফতারির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
তিরুমূর্তির বয়ান অনুযায়ী, এর পরই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মতো বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলারই রায় বেরোল এত বছর পর।
কেন এতোটা সময় লাগল? সুভাষিণীর আইনজীবী অনিল শর্মা আক্ষেপের সুরে জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারপতির অভাব এবং হাজার হাজার মামলা জমে থাকায় ক্রমশ পিছতে পিছতে অবশেষে কুড়ি বছর কাটিয়ে ঘোষিত হল রায়।
আরও পড়ুন: স্কার্টের মতোই ছোট হওয়া উচিত ই-মেল!
সুভাষিণীর অবশ্য দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি নামী সংস্থায় অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাজ করেন সুভাষিণী। স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে তাঁর পাশে দাঁড়াননি তিরুমূর্তি। শুধু তাই নয়, গর্ভস্থ সন্তানেরও দায়িত্ব নেননি তিনি। তবে তাই বলে সন্তানের যত্নের কোনও ত্রুটি হতে দেননি সুভাষিণী। এ বছরই তাঁদের মেয়ে ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে। মেয়ের লালন পালনের যাবতীয় দায়িত্বই ছিল সুভাষিণীর একার কাঁধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy