রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহ।
জাতপাতের রাজনীতির স্বার্থেই বিহার প্রদেশ সভাপতি পদে উচ্চবর্ণের কোনও নেতাকেই চান বিহারের কংগ্রেস নেতারা। বিভিন্ন সময়ে সনিয়া-রাহুলকে এই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ বার সেই দাবি আরও জোরালো হল।
সম্প্রতি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বিহার দলের পর্যবেক্ষক পদে সি পি যোশিকে সরিয়ে গুজরাতের কংগ্রেস নেতা শক্তি সিংহ গোহিলকে দেওয়া হয়। দায়িত্ব নিয়েই তিনি বিহার সফরে আসেন। দলের বিধায়ক ও প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারীদের সঙ্গে দু’দিন ধরে তিনি বৈঠক করেন। সেখানেই দলের সিংহভাগ নেতা তাঁকে ফের এই পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে গত অগস্ট মাসে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে দেখা করেও এমন কথাই বলেছিলেন ওই নেতারা।
যদিও শক্তি সিংহ এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘নতুন সভাপতি কাকে করা যায় তা নিয়ে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকম্যান্ড-ই নেবেন।’’
প্রদেশ সভাপতি পদে প্রথমে দলিত নেতা অশোক চৌধুরী বা পরে কার্যকরী সভাপতি পদে সংখ্যালঘু নেতা কোকব কাদরিকে বসান রাহুল গাঁধী। রাজ্য-রাজনীতিতে তাঁদের কারও তেমন প্রভাব ছিল না। এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, অথচ বিহারে কংগ্রেসের এখনও জনভিত্তি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদও উচ্চবর্ণ থেকে প্রদেশ সভাপতি বাছার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। বিজেপিকে বিহারে ঠেকাতে উচ্চবর্ণের ভোটকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে আরজেডি। রাজ্যে যাদব এবং মুসলিম ভোটের বড় অংশ রয়েছে লালুর সঙ্গেই। কংগ্রেস উচ্চবর্ণের ভোটের একটা অংশ টানতে পারলে রাজ্যে তাঁরা অনেকটাই এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন আরজেডি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: গায়ককে গুলি করে ফেসবুকে গর্ব
মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দলের তরফে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। উচ্চবর্ণের কোনও নেতাকে রাজ্যে দলের মুখ করার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে গুলাম নবি আজাদও একই পরামর্শ দেন। অতীতে বিহার কংগ্রেসে উচ্চবর্ণের নেতাদের দাপটের অসংখ্য উদাহরণ হিসেবে শ্রীকৃষ্ণ সিংহ, অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহ, সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, জগন্নাথ মিশ্র, কেদার পাণ্ডের মতো উচ্চবর্ণের নেতাদের নামও টানা হয়েছে সাম্প্রতিক বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy