প্রতীকী ছবি।
প্রকাশ কারাট স্বীকার না করতে পারেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিজেপি-র তুলনায় সিপিএমকে অনেক কম বিপদ বলে মনে করছে কংগ্রেস। ত্রিপুরায় বিরোধী পরিসর হারিয়ে ফেলার পরে এ বারের ভোটে কংগ্রেসের রণকৌশল সে রকমই।
মানিক সরকারের রাজ্যে গত বার জেতা কংগ্রেস বিধায়কদের ৭ জনই এখন বিজেপি-তে। কংগ্রেসের হাতে এখন শিবরাত্রির সলতের মতো দু’জন বিধায়ক— প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ এবং বনমালীপুরের গোপাল রায়। কিন্তু নেতা-বিধায়কেরা তৃণমূল ঘূরে বিজেপি-তে চলে গেলেও কংগ্রেসকে নিয়ে অঙ্ক একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। বিরোধী দল হিসাবে প্রায় ৩৫% ভোট ছিল কংগ্রেসের। নেতাদের সঙ্গে অধিকাংশ ভোট চলে গিয়েও কংগ্রেস যদি ৮-১০% সমর্থনও ধরে রাখতে পারে, তাতে লাভ সিপিএমের। এবং বিপদ বিজেপি-র! ত্রিপুরায় ছোট ছোট আসনে কংগ্রেসের সামান্য ভোটও জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তিতে ভূমিকা নিতে পারে।
ভাঙা সংগঠন নিয়েও রাজ্যে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। লড়াইয়ে উৎসাহ দিতে কাল ত্রিপুরায় আসছেন কংগ্রেস সভাপতি। সমাবেশ করার কথা বীরজিৎবাবুর কেন্দ্র কৈলাশহরে। আগরতলার ঘিঞ্জি রাস্তায় রোড-শো কর্মসূচি নিরাপত্তার কারণে বাতিল হয়েছে। রাহুলের আগে রাজ্যে এসে এআইসিসি-র নেতা এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী বলেছেন, ‘‘কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস অনেক বছর লড়াই করেছে। কিন্তু বিজেপি রাজ্য ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে জোট করেছে, অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বিজেপি-র এই ভয়ঙ্কর রাজনীতি রুখতে হবে।’’ ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ পেয়েছে তাঁর হাতেই।
ত্রিপুরার যে ৫৯টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ৫৮টিতে লড়ছে কংগ্রেস। একটি কেন্দ্রের প্রার্থী শেষ মুহূর্তে বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। বিজেপি-র যাত্রাভঙ্গের তাগিদেই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন মহারাষ্ট্র ও উত্তরাখণ্ডের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বান ও হরিশ রাওয়াত, উত্তরপ্রদেশের রাজ বব্বর, মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব, মহিলা সংগঠনের নেত্রী তথা অভিনেত্রী নাগমা প্রমুখ। বাংলার নেতাদের অবশ্য এ বার ডাক পড়েনি। এআইসিসি-র স্ক্রিনিং কমিটির সদস্য হিসাবে অমিতাভ চক্রবর্তী শুধু ঘাঁটি গেড়ে আছেন। সঙ্গে ওই কমিটির আর এক সদস্য শাকিল আহমেদ খান।
প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ও ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য এর মধ্যে বোমা ফাটিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওদের দলে যোগ দিলে আমায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বা রাজ্যসভায় সাংসদ করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। একটা রাজ্যে বিজেপি কী পরিমাণ টাকা খরচা করছে, ভাবা যায় না!’’ লড়াইয়ের কেন্দ্রে না থেকেও চর্চায় আছে কংগ্রেস!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy