উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ভারতের সাফল্যকে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করল চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম।
বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন গবেষণা কেন্দ্র থেকে একটি রকেটের সাহায্যে এক সঙ্গে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ইসরো। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এই প্রথম এতগুলি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
খবরটা তেতো ওষুধের মতো গিলে নিয়ে বৃহস্পতিবার চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ভারতের প্রশংসা করেও মনে করিয়ে দিতে ভুলল না, যে এ দেশেই রয়েছে পৃথিবীর অধিকাংশ দরিদ্র মানুষ। আর এক বারের এই সাফল্যে যে ভারতের মহাকাশ গবেষণার মান উন্নত হয়ে গিয়েছে, এমন কিছু প্রমাণ হয় না বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
তবে, এখনই এর জবাব দিতে চাইছে না নয়াদিল্লি। কারণ, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত-চিন কৌশলগত আলোচনা হবে বেজিংয়ে। দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও কৌশলগত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে কথা বলবেন ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। তাই বৈঠকের দোরগোড়ায় এসে এখনই চিনের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটিতে রাজি নয় ভারত।
মহাকাশ দখল নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহু দিনের। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক কম খরচে তাদের টেক্কা দিয়ে ভারতের এই সাফল্য চিন মেনে নিতে পারছে না। সেই সঙ্গেই তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের ওই ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহও। এগুলি দিয়ে নজরদারি চালিয়ে ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে, এই আশঙ্কা চিনকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
অবশ্য চিনের এমন প্রতিক্রিয়াই প্রত্যাশিত ছিল কূটনৈতিক মহলে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এমনকী, কৌশলগত আলোচনায় চিন এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েই যাচ্ছেন জয়শঙ্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy