Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
National news

পোঙ্গল: ধোঁয়ায় ঢাকলো চেন্নাই, বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা

শনিবার ভোর ৪টে থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চেন্নাইয়ে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে পড়ে। মুখ ঘুরিয়ে নেয় চেন্নাইগামী ১৮টি বিমান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৫৫
Share: Save:

উৎসবেই বিপর্যয়ের ছায়া চেন্নাইয়ে।

উৎসবের জেরে আকস্মিক ধোঁয়ায় ঠেকে গেল চেন্নাইয়ের আকাশ। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বনফায়ারে বিপর্যস্ত হল চেন্নাইয়ের বিমান পরিষেবা। শনিবার ভোর ৪টে থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চেন্নাইয়ে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে পড়ে। মুখ ঘুরিয়ে নেয় চেন্নাইগামী ১৮টি বিমান। সকাল ৯টার পর থেকে আস্তে আস্তে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

কেন এমন ঘটল?

তামিলনাড়ুর পোঙ্গল উৎসব শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে। প্রতি বছরই রীতি মেনে পোঙ্গলের আগের দিন তামিলনাড়ু ভোগী উৎসব পালন করে। ভোগী পুরনো সব কিছু ভুলে নতুনকে আপন করে নেওয়ার উৎসব। এই উৎসবে কৃষিজ এবং গৃহস্থালির যাবতীয় পুরনো এবং বাতিল করে দেওয়ার মতো দ্রব্য পোড়ানো হয়। জামা-কাপড় থেকে শুরু করে কাগজের বাক্স বা খড় সমস্তই পোড়ান তামিলরা। শনিবার ভোরে ভোগী পালন করার সময়ই এই ঘটনা।

তামিলনাড়ুর দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতর সূত্রে খবর, এমনিতেই চেন্নাইয়ের বেশ কিছু জায়গায় বায়ু দূষণের পরিমাণ খুবই বেশি। তার উপর একসঙ্গে এত পরিমাণ বনফায়ার হয়। ফলে যে প্রচুর পরিমাণ ধোঁয়া তৈরি হয়েছে, তা কুয়াশার সঙ্গে মিশে ধোঁয়াশা তৈরি হয় যা চেন্নাইয়ের আকাশকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। দূষণের জেরে চেন্নাইয়ের বায়ু আগে থেকেই যথেষ্ট ভারী ছিল। ফলে এই ধোঁয়া সরতেও বেশ কিছুটা সময় লাগে। ৫ ঘণ্টা বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মুখ ঘুরিয়ে বিমানগুলোকে বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে অবতরণ করানো হয়। চূড়ান্ত হয়রানি হয় যাত্রীদের।

আরও পড়ুন: সেরা বাণিজ্য-বন্ধু শিরোপা রাজ্যের, বড় প্রাপ্তি

গত ১০ বছর ধরেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। পোঙ্গল উৎসব দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পোঙ্গলের সময় যাতে কোনও কিছু পোড়ানো না হয়, তার জন্য দরজায় দরজায় গিয়ে সকললে বোঝাচ্ছেও বোর্ডের কর্মীরা। কিন্তু এত চেষ্টার পর এখনও মানুষকে সে ভাবে সচেতন করা যায়নি, মানছেন বোর্ডের কর্তারা।

দিল্লিবাসীও এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী। বরং এর চেয়েও আরও ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। ধান কাটার পর পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা জমিতে পড়ে থাকা খড়ের বোঝা জ্বালিয়ে দেন। আর সেই ধোঁয়া দিল্লিকে অন্ধকারে ঢেকে ফেলেছিল। দিনের বেলাতেও আলো জ্বালতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে। শুধু দিল্লি বা চেন্নাই নয়, দূষণ দৌড়ে কলকাতা এবং মুম্বইও পিছিয়ে নেই। এই চার শহরে দূষণের সমীক্ষা চালিয়ে সম্প্রতি আগাম সতর্কতাও জারি করেছে মার্কিন দূতাবাস।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE