—ফাইল চিত্র।
তিন তালাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এই মুহূর্তে কোনও আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার তাৎক্ষণিক তালাক প্রথাকে অসংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের পরেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দেন, ‘‘আপাত ভাবে আর কোনও আইনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।’’ শুধু তাই নয়, এখন থেকে দেশের কোনও মুসলিম মহিলা তাৎক্ষণিক তালাক প্রথার শিকার হলে থানায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর জন্য ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাই যথেষ্ট। আলাদা করে আইন না আনলেও চলবে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মুসলিম মহিলাদের জয়
দীর্ঘ দিন ধরেই শীর্ষ আদালতে তিন তালাক নিয়ে শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তিন জনই সম্মতি দেন এ প্রথা রদ করার পক্ষে। প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর ও বিচারপতি আব্দুল নাজিরের মত ছিল, এই প্রথার উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে কেন্দ্রকে নতুন একটি আইন তৈরি করতে বলা। অর্থাত্ চূড়ান্ত মীমাংসার ভার আইনসভার উপরেই ছাড়তে চেয়েছিলেন এই দুই বিচারপতি। কিন্তু শেষমেষ খেহর ও নাজিরের মত ৩-২এ হেরে যায়। তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক, ইসলাম বিরোধী ও কোরান বিরুদ্ধ বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: অবস্থা বদলাবে কি, প্রশ্ন রইলই
ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত এই প্রথার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। মুসলিম মহিলাদের একটি সংগঠন তিন তালাক প্রথার উচ্ছেদের জন্য এই মামলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। তিন তালাক নিয়ে শুনানি চলাকালীন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বক্তব্যও শুনেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যও শোনেন বিচারপতিরা। এমনকী সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথা ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দিলে, মুসলিমদের বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নতুন আইন আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, আপাতত তার আর দরকার হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: তিন তালাক নিয়ে মত আলাদা ছিল প্রধান বিচারপতিরই
এই রায়ের ফলে দেশের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy