অভিযুক্ত: দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে লালুপ্রসাদ। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
নিয়ম ভেঙে রেলের হোটেল বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে আজ লালুপ্রসাদ যাদবকে জেরা করল সিবিআই। পর পর তিন বার সিবিআইয়ের সমন পেয়েও হরেক অজুহাতে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। চতুর্থ বার সে পথে না হেঁটে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সদর দফতরে হাজির হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে মিসা ভারতী।
আরজেডি শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইআরসিটিসি-র হোটেল লিজ দেওয়ার বিনিময়ে পটনার দানাপুরের সগুনা মোড়ে জমির মালিকানা পেয়েছে তাঁর পরিবার। একই মামলায় আগামী কাল সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার সমন পেয়েছেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবও।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআইয়ের সদর দফতরে পৌঁছন লালু। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একটাও কথা বলেননি। তবে সেখানে যাওরার আগে টুইটারে লেখেন— ‘সচ অউর গুলাব হামেশা কাঁটো সে ঘিরে রহতে হ্যায়। সচ কো আঁচ নেহি, সত্যমেব জয়তে।’ এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন জেডিইউ নেতা অজয় অলোক। তাঁর মন্তব্য, ‘‘লালুপ্রসাদ নিজের কাঁটাতেই জড়িয়ে গিয়েছেন। নিজে কর্মফল ভোগ করছেন। তাঁর জন্য ভুগছেন পরিজনরাও।’’
রাজনৈতিক শিবিরে কানাঘুষো, একের পর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে জেরবার যাদব পরিবার। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় শুধু লালু ফেঁসেছিলেন। এখন তাঁর পরিবার অন্য দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। রেলের হোটেল সংক্রান্ত মামলায় রাবড়ী দেবী, তেজস্বীর নাম জড়িয়েছে। অর্থনৈতিক কারচুপি নিয়ে ইডি-র নিশানায় মেয়ে মিসা ভারতী, জামাই শৈলেশ। জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন বড় ছেলে তেজপ্রতাপ।
হোটেল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বাকিদের জেরা আগেই সেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। লালু্প্রসাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লালু্কে জেরার জন্য অনেক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে সিবিআই। এ দিন ১০-১২টি প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছে। লালুর উত্তরের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন গোয়েন্দারা। এই মামলার বিচার দ্রুত শুরু করতে চায় সিবিআই। সে জন্য দ্রুত চার্জশিট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy