জোধপুরে সলমন। ছবি: পিটিআই।
তাঁর গুলিতে নয়, প্রাকৃতিক কারণেই নাকি মারা গিয়েছিল জোড়া কৃষ্ণসার। জোধপুরের নিম্ন আদালতে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে এসে এই যুক্তিই দিলেন সলমন খান। এমনকী যে দিন ‘শিকার’ হয়েছিল বলা হচ্ছে, সে দিন তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন ৫১ বছরের অভিনেতা।
উনিশ বছরের পুরনো কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় হাজিরা দিতে আজ জোধপুরে এসেছিলেন বলিউড তারকা। অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ে রাজস্থানে এসে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সলমন। ওই একই সময়ে চিঙ্কারা হরিণ শিকারের দায়েও পড়েন তিনি। বিরল প্রজাতির পশু শিকার, অস্ত্র আইন— সব মিলিয়ে চারটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৮ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় জোধপুরের আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করে।
আইনজীবীদের দল নিয়ে আজ আদালতে এসেছিলেন নীল শার্ট আর ডেনিম জিন্স পরা সলমন। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দলপত সিংহ রাজপুরোহিত মোট ৬৫টি প্রশ্ন করেন সলমনকে। যার বেশির ভাগের জবাবেই ‘গলত’ শব্দটা বলেছেন নায়ক। কোর্টে সলমন দাবি করেন, চিকিৎসক নেপালিয়া তাঁর প্রথম ফরেন্সিক রিপোর্টে লিখেছিলেন, প্রাকৃতিক কারণেই হরিণ (কৃষ্ণসার) দু’টির মৃত্যু হয়েছে। সেটাই সত্যি।
সলমনকে বিচারক জানান, যে জিপে চড়ে তিনি ও সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শিকার করেছিলেন বলে অভিযোগ, সেটিতে রক্তের দাগ আর হরিণের লোম পাওয়া গিয়েছিল। উপরন্তু দু’জন সাক্ষীও বলেছেন, জিপটা সলমন চালাচ্ছিলেন এবং তিনি গুলিও ছুড়েছেন। জবাবে সলমন দাবি করেন, মিথ্যে কথা বলছেন সাক্ষীরা। কারণ তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।
সলমনের সঙ্গেই আজ হাজিরা দিতে আসেন সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম। সইফের বয়ানও আজ রেকর্ড করা হয়েছে। ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে তারকাদের অব্যাহতি দেওয়া জন্য এর আগে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবীরা। কিন্তু ১৩ জানুয়ারি সেই আর্জি নাকচ করে দেন বিচারক। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy