প্রতীকী ছবি।
এলাকার গণ্যমান্যরা তাঁর কথার অবাধ্য হওয়ার সাহস পায় না। কারণ, তিনি যে এলাকার কাউন্সিলর। প্রবল প্রভাব-প্রতিপত্তি। এমন ‘ক্ষমতাবান’-এর গাড়িকে ধাক্কা মেরে চলে যাবে কি না একটা অ্যাম্বুল্যান্স। থাকলেনই বা তাতে কোনও মুমূর্ষু রোগী। বেশ কিছু পথ গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে অ্যাম্বুল্যান্সটাকে ধরে ফেলেন বিজেপি কাউন্সিলর। ধাক্কা মারার জন্য ‘শাস্তি’ও দেন। অভিযোগ, রোগী থাকলেও প্রায় আধ ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটকে রাখেন ওই নেতা। পরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও, অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিজেপি কাউন্সেলর দর্শন নাগপাল।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে হরিয়ানার ফতেহাবাদ শহরে।
আরও পড়ুন: বিজেপি সভাপতির ছেলের ‘কুকর্ম’ উধাও!
অভিযোগ, বছর বিয়াল্লিশের অসুস্থ নবীন সোনিকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তাঁর দুই ভাই সীতারাম সোনি আর অরুণ সোনি। শহরের এক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল নাগপালের গা়ড়ি। সেখানেই ওই বিজেপি নেতার গাড়িতে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুল্যান্সটি।
এর পর অ্যাম্বুল্যান্সটিকে থামতে বললেও শোনেননি চালক। মৃতের বড় ভাই সীতারাম সোনির অভিযোগ, আর ১৫ মিনিট আগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত তাঁর ভাইকে। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানের গাড়ি আমাদের অ্যাম্বুল্যান্সটিকে ধাওয়া করে আটকায়। ক্ষতিপূরণ চায়। আমরা অনেক অনুরোধ করলেও ছাড়তে চাননি তিনি।’’
আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে যুবতীকে নিগ্রহ, ধাওয়া করে বাঁচালেন দুই যুবক
তবে, সব অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি কাউন্সেলরের দাবি, তিনি অ্যাম্বুল্যান্স আটকাননি। উল্টে, অ্যাম্বুল্যান্সের চালক মদ্যপ ছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমি এর গুরুত্ব বুঝি। তার উপর যখন সেটা কোনও অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।’’
স্থানীয় পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জগদীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, এ বিষয় একটা অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy