এই সেই মন্দির।—ফাইল চিত্র।
মাত্র একটা রাত। তার মধ্যেই নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছিল একটা আস্ত শিব মন্দির! আর সেই মন্দিরটি নাকি তৈরি করেছিল অতৃপ্ত আত্মারা! অবাক করা এমনই অলৌকিক গল্প জুড়ে রয়েছে মেরঠের হাপুরের সিমভাওয়ালির দাতিয়ালা গ্রামের একটি বিশেষ শিব মন্দিরের সঙ্গে।
গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, প্রাচীন এই মন্দির তৈরি করেছিল ভূতেরা। তাই এর নাম ‘ভূতোওয়ালা মন্দির’। লাল রঙে তৈরি মন্দিরটিতে ইটের সঙ্গে ইট জুড়ে তৈরি। শোনা যায় এই শিব মন্দিরটি প্রায় হাজার বছরের পুরনো৷ শুধুমাত্র চূড়ার কিছু অংশ বাদে এত বছরে প্রাচীন এই মন্দিরের কোনও ক্ষতিই হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, মন্দিরের কেবল ওই অংশটি নাকি ‘ভূতেরা’ তৈরি করেনি। পরে মানুষই মন্দিরের চূড়া তৈরি করেছিল। আর সেই কারণেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে মন্দিরের উপরিভাগ।
আরও পড়ুন: বিজয়ায় মুকুলের শুভেচ্ছা দিলীপদের
মন্দিরের পুরোহিত রাকেশ কুমার গোস্বামীর মতে, এক রাতে এই মন্দির তৈরি করেছিল অতৃপ্ত আত্মারা৷ কিন্তু সম্পূর্ণ মন্দিরটি রাতের মধ্যে তৈরি হয়ে গেলেও মন্দিরটির চূড়াটি তৈরি হওয়ার আগেই সূর্যোদয় হওয়ায় ‘তেনারা’ নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন! পরে ১৯৮০ সালে গ্রামবাসীরা মন্দিরের চূড়া তৈরি করেন।
অতৃপ্ত আত্মাদের তৈরি এই মন্দিরটি কি কোনও ক্ষতি করে গ্রামের বাসিন্দাদের? এই প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান, একেবারেই নয়৷ বরং এই মন্দিরটিই নাকি সমস্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে! খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে এটি৷ তবে, যাই হোক না কেন মেরাঠের এই ভূতুড়ে মন্দির দেখতে উৎসুক দর্শকদের ভিড় উপচে পরে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy