অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী মহিরুদ্দিন আহমেদ।
টানা ১৮ বছর তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাকরি করে অবসর নিয়েছেন। অসমের বরপেটার সেই মহিরুদ্দিন আহমেদকেই এ বার প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ভারতীয় নাগরিক!
সেনাবাহিনীর এই অবসরপ্রাপ্ত হাভিলদারকে ‘সন্দেহজনক নাগরিক’ হওয়ার নোটিস ধরিয়েছে অসম পুলিশ। পঞ্জাবের বঠিণ্ডায় সেনাবাহিনীর ফিল্ড অর্ডিনান্সে কর্মরত ছিলেন মহিরুদ্দিন। হাভিলদার হিসেবে ২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার পরে তিনি সেনা স্কুলে চুক্তিভিত্তিক ক্লার্ক হিসেবেও বেশ কিছু দিন কাজ করেন। ২০১৭ সালে তিনি বরপেটায় ফেরেন। সম্প্রতি বরপেটা পুলিশের সন্দেহ-তালিকার ভিত্তিতে বিদেশি শণাক্তকরণ আদালত বা ফরেনার্স ট্রাইবুনাল মহিরুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী হুসেনারা আহমেদের নামে নোটিসটি জারি করে। আগামী সোমবার, ৬ নভেম্বর দু’জনকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মহিরুদ্দিন বলেন, ‘‘প্রায় দেড় যুগ দেশের সেবা করেছি। ১৯৬৬ সাল থেকে ভোটার তালিকায় আমার বাবা-মায়ের নাম রয়েছে। ১৯৩০ সাল থেকে ঠাকুদারা এখানে ছিলেন। ১৯৪৯ থেকে জমির সব দলিল রয়েছে বাবার নামে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ যে আমার মতো অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীকেও সন্দেহজনক নাগরিকের তালিকায় ঢুকিয়ে দেবে, তা ভাবতেই পারছি না!” ‘অপমানিত’ মহিরুদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী সংগঠনকেও বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতরত্নের প্রস্তাব কারিয়াপ্পাকে, ফের বিতর্কে সেনাপ্রধান
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরেই সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) আজমল হকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে নোটিস জারি করা হয়েছিল। তা নিয়ে হইচই হতেই পুলিশের তরফে জানানো হয়, একই নাম হওয়ায় ভুল করে অন্য গ্রামবাসীর নোটিস ওই জেসিওকে ধরানো হয়েছিল। চলতি বছর জুন মাসে দক্ষিণ শালমারায় এক পুলিশ কনস্টেবল, আবু তাহের আহমেদকেও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এমন নোটিস ধরিয়েছিল পুলিশেরই সীমান্ত শাখা। সব ক্ষেত্রেই পরে ভুল স্বীকার করেই পার পেয়ে যান সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তারা। এ বারও একই ভাবে ডিজিপি মুকেশ সহায় জানান, তিনি অভিযোগটি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বরপেটার এসপি-র কাছে দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy