Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
National News

ছেলের হাতে খুন হরিয়ানা পুলিশের এএসআই

গুরুগ্রামের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার(এসিপি) মণীশ সহগল জানিয়েছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিজের ঘরেই খুন হন নরেশ। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় মোহিত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজস্থানের জয়পুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোহিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৩:১৭
Share: Save:

চুরি-ছিনতাই, এমনকী খুনের অভিযোগও রয়েছে ছেলের বিরুদ্ধে। বাবার নিষেধ সত্ত্বেও অপরাধের রাস্তা ছাড়েনি। তা নিয়ে ছেলেকে বকাবকিও করতেন হরিয়ানা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) নরেশ যাদব (৪৬)। শেষমেশ বাবাকেই খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ছেলে মোহিতকে গ্রেফতার করছে গুরুগ্রাম পুলিশ।

গুরুগ্রামের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার(এসিপি) মণীশ সহগল জানিয়েছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিজের ঘরেই খুন হন নরেশ। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় মোহিত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজস্থানের জয়পুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোহিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

হানিপ্রীতকে রাত ৩টে পর্যন্ত জেরা, ডিনারে দেওয়া হল ডাল-রুটি

পুরনো সেই চিঠিই এখন কাঁটা মুকুলের

থ্রি ইডিয়টস্-এর কায়দায় অস্ত্রোপচারের চেষ্টা তিন নার্সের, মৃত্যু সদ্যোজাতর

পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগ্রামের অভিজাত এলাকায় ডিএলএফ ফেজ-থ্রিতে ইউ ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন নরেশরা। পড়শিদের দাবি, বাবা-ছেলের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। পড়শিরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ওই পরিবারের সকলেই ফ্ল্যাটে ছিলেন। কিন্তু, এর পর থেকে ফ্ল্যাটে আর কারও দেখা মিলছিল না। তবে পুলিশ মোহিতকেই কেন সন্দেহ করল? এসিপি সহগল বলেন, “ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ঘটনার দিন রাতে বেশ বিচলিত অবস্থায় এবং ভীত মুখে ফ্ল্যাট ছাড়ছে মোহিত।” এর পরই পুলিশ তার খোঁজ শুরু করে। দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় মোহিতদের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। তবে শেষমেশ ঘটনার দিন পনেরো পরে জয়পুরের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসিপি সহগলের দাবি, “জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে মোহিত। নিজের অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য বার বার বাবার বকাঝকা খেতে হতো তাকে। তা নিয়েই বাবার উপর রীতিমতো বিরক্ত ছিল সে।” এসিপি-র আরও দাবি, “ঘটনার আগের দিন বেশি রাত করে মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফেরায় মোহিতকে কড়া বকুনি দেন নরেশ। সে রাতে তো বটেই, পরের দিন সকালেও বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে রাতেই নরেশকে গুলি করে খুন করে মোহিত।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy