মায়ের সঙ্গে মোদী
কাকভোরে ছেলে গিয়েছিলেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। একসঙ্গে জলখাবারও খেয়েছেন। আর এমন ভাল সময় কাটাতে গিয়েই ছেলের রোজকার অভ্যাস ‘যোগ’টাই আর করা হয়নি। কিন্তু, তাতে আফশোস নেই! মায়ের সঙ্গে অসামান্য একটা সময় তো কাটানো গেল!
মা হীরাবেন এতে খুশি। খুশি ছেলে নরেন্দ্র মোদীও। টুইট করে কথাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন ছেলে। লিখেছেন, ‘যোগ না করে মায়ের কাছে গিয়েছিলাম। ভোর হওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে জলখাবার খেয়েছি। একসঙ্গে ভীষণ ভাল সময় কাটালাম।’
নরেন্দ্র মোদীর টুইট
মোদীর এই আনন্দের বেলুনে অবশ্য ছোট্ট এক আলপিন ঢুকিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তবে, কারও নাম না করেই। তিনি লিখেছেন, ‘আমি মায়ের সঙ্গেই থাকি। রোজ ওঁর আশীর্বাদ নিই। কিন্তু, ঢাক পেটাই না। আমি রাজনীতির জন্য মাকে ব্যাঙ্কের লাইনেও দাঁড় করাই না।’
বারে বারেই নরেন্দ্র মোদী রাজনীতির আঙিনায় প্রচ্ছন্ন ভাবে তাঁর মাকে এনে ফেলেছেন। বিভিন্ন সময়ে সে কথা নিজেই ফলাও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। অনেক সময় সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে মা-ছেলের এই আপাত রাজনীতিহীন সম্পর্কের কথা। সে ভোট দিতে যাওয়া হোক বা মাকে প্রণাম করতে যাওয়া। অথবা নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়ানো ৯৭ বছরের হীরাবেনের ছবি। আসলে মোদী বারে বারেই বুঝিয়েছেন, মা তাঁর এক সম্পদ। বিরোধীরা এ নিয়ে মাঝে মাঝে কটাক্ষও করে মোদীকে।
অরবিন্দ কেজরীবালের টুইট
‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ উপলক্ষে গাঁধীনগর গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোমবার বিকেলে তার উদ্বোধনও করেন। আর ব্যস্ত সেই সময়সূচির মধ্যেও এ দিন ভোরে তিনি রাজধানী লাগোয়া রইসান গ্রামে গিয়েছিলেন মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করতে। ওই গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই পঙ্কজকে নিয়ে থাকেন হীরাবেন। সেখান থেকে ফিরে টুইট করে সে কথা জানিয়েছিলেন মোদী।
আরও পড়ুন- ‘বনবাস’ ঘোচাতে টুইট করায় ক্ষিপ্ত সুষমা, দিলেন ‘বদলি’র হুমকি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy