প্রতীকী ছবি।
তিন বছর ধরে ইরাকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ পেতে পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ সংগ্রহ শুরু করল বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও এর ফলে একই সঙ্গে আশা ও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে ওই নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। মনে করা হচ্ছে, মসুল এবং রাকায় খুঁজে পাওয়া গণকবরগুলির মধ্যে ওই নিখোঁজ ভারতীয়রা রয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখতেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ৪০ জন ভারতীয়। তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পঞ্জাবি। তাঁরা ইরাকের একটি নির্মীয়মান বাড়িতে কাজ করছিলেন। পরে হরজিৎ মাসিহ নামে এক পঞ্জাবি দেশে ফিরে এসে জানান, ইরাকে জঙ্গিরা তাঁদের অপহরণ করে আটকে রেখেছিল। কোনওক্রমে তিনি পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। হরজিৎ পালিয়ে এলেও এত দিন বাকি ৩৯ জনের কোনও সন্ধান মেলেনি। এই তিন বছরে তাঁরা কেউ বাড়ির লোকজনদের সঙ্গেও যোগাযোগও করেননি।
আরও পড়ুন: অন্য দেব-দেবীর পুজো করলে খোয়াতে হবে ধর্ম, ফতোয়া দারুল উলুমের
সেই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ভারতীয়দের সন্ধান পেতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইরাকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন। কিন্তু এতদিন ইরাক এ বিষয়ে ভারতকে কোনওরকম সাহায্য করতে পারেনি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি আইএস মুক্ত হওয়ার পর ইরাকের মসুল এবং সিরিয়ার রাকায় বেশ কয়েকটি গণকবর মিলেছে। আইএস জঙ্গিরা খুন করে এখানে দেহ ফেলে রাখত বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে নিখোঁজ এই ভারতীয়রা থাকতে পারে বলে অনুমান ইরাক ও সিরিয়া প্রশাসনের। তা নিশ্চিত করতেই ভারতের কাছে ওই সমস্ত নিখোঁজদের পরিবারের ডিএনএ-র নমুনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy