Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

এটাকে বলে অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার

চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয়, ‘অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার।’ এই রোগীরা ঠান্ডা মাথায় অপরাধের ছক কষতে পারেন এবং অপরাধ করার পরেও আশ্চর্য রকম নিরুত্তাপ থাকেন। উল্টে কী ভাবে ধরা পড়া থেকে বাঁচা যায় তার নিখুঁত পরিকল্পনাও তৈরি করে রাখেন।

জয়রঞ্জন রাম, মন-চিকিৎসক
শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৩
Share: Save:

চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয়, ‘অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার।’ এই রোগীরা ঠান্ডা মাথায় অপরাধের ছক কষতে পারেন এবং অপরাধ করার পরেও আশ্চর্য রকম নিরুত্তাপ থাকেন। উল্টে কী ভাবে ধরা পড়া থেকে বাঁচা যায় তার নিখুঁত পরিকল্পনাও তৈরি করে রাখেন। এঁদের আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়। এঁরা মনে করেন, কেউ তাঁদের ধরতে পারবেন না। তাই একের পর এক অপরাধ করে চলেন।

সাধারণত, ছোটবেলা থেকেই রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তখ়ন বন্ধুবান্ধব-পশুপাখিকে মেরে, অম্লান বদনে মিথ্যে কথা বলেও তাদের কোনও অনুশোচনা থাকে না। শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতাকে ‘কনডাক্ট ডিসঅর্ডার’ বলে। ছোট থেকে চিকিৎসা না করলে সেটাই পরে ‘অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’-এর রূপ নিতে পারে।

এই ছেলেটির ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে, ওর ভিতরে একটা হিরোইজমের ধারণা হয়তো কাজ করছে। ওর হয়তো ভাবছে যে, সে একটা বিরাট কাজ করে ফেলেছে। সকলে তাকে নিয়ে আলোচনা করছে। এই মানসিকতা থেকেই সে বাবা-মাকে খুন করার গল্প বানিয়ে বলছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।

অন্য বিষয়গুলি:

Antisocial Personality Disorder Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE