অমিত শাহ।— ফাইল চিত্র।
গুজরাতের নারোড়া পাটিয়া গণহত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত, পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত, গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেত্রী মায়া কোডনানির হয়ে সাক্ষ্য দিলেন অমিত শাহ। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ অমদাবাদ হাইকোর্টে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি। গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মায়ার হয়ে সাক্ষীদের তালিকায় অমিত শাহই শেষ নাম। বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব করা হয়ে গিয়েছে।
এ দিন মায়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সভাপতি আদালতে দাবি করেন, ঘটনার দিন নারোড়া গ্রামে উপস্থিতই ছিলেন না কোডনানি। বরং, তাঁর (শাহ’র) সঙ্গে সে দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত বিধানসভায় ছিলেন তিনি। এর পরে যে হাসপাতালে স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ হিসেবে কোডনানি কাজ করেন, সেখানে চলে যান বলে আদালতে সাক্ষী দেন শাহ। প্রায় ঘণ্টা খানেক আদালতে ছিলেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: মোদীর বার্থডে গিফট্, ৪০০টি ৬৮ পয়সার চেক!
২০১২ সালে নারোড়া পাটিয়া হত্যা মামলায় মায়া কোডনানিকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অমদাবাদের শহরতলি এলাকায় ২০০২ সালে তিন দিনের হিংসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত একশো জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে মায়ার বিরুদ্ধে। ওই তিন দিনের মধ্যে এক দিন, ২৮ ফেব্রুয়ারি, নারোড়া গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এগারো জনকে হত্যার ঘটনাতেও অভিযোগ ওঠে মায়ার বিরুদ্ধে। এই দ্বিতীয় ঘটনাটিতেই অমিত শাহের সাক্ষ্য প্রয়োজন মায়ার। ২০১৪ সালে হাইকোর্টে জামিন পান মায়া। সপ্তাহ দেড়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, হাইকোর্টকে এই মামলা চার মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নের মুখে ‘অল টেরেন ভেহিক্ল’
অমিত শাহকে তাঁর হয়ে সাক্ষ্য দিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য কোডনানিকে গত এপ্রিলে অনুমতি দেয় আদালত। মায়ার দাবি, শাহের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে সময়ে অমদাবাদ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রামে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে তিনি অমিতের সঙ্গে গুজরাত বিধানসভায় ছিলেন। তার পরে যে হাসপাতালে স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি কাজ করেন, সেখানে যান বলে জানিয়েছেন মায়া। ওই সময়ে অমিত এবং মায়া দু’জনেই ছিলেন বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy