অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনে আপ বিধায়কদের হাতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশের নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে এমনিতেই উত্তাল দিল্লির রাজনীতি। এর মধ্যেই আপের অন্যতম শীর্ষ নেতা আশুতোষ টানলেন ফিল্মি অনুষঙ্গ। মুখ্যসচিবের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তাঁকে মারধর করেন বিধায়কেরা। সেই অভিযোগ উড়িয়ে আশুতোষ আজ বলেন, ‘‘মুখ্যসচিব কি ‘দিওয়ার’ ছবির অমিতাভ বচ্চন, যে ১২ জনের সঙ্গে একা লড়াই করে হিরোর মতো হেঁটে বেরিয়ে গেলেন!’’
গতকালই দুই আপ নেতা আমানতউল্লা খান এবং প্রকাশ জারওয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে জেরার অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। বিচারক বলেন, ওই দুই বিধায়কই তদন্তে সহায়তা করতে রাজি হয়েছেন। তাঁদের কাছে থেকে এমন কিছু উদ্ধারও হয়নি, যা তদন্তের ক্ষেত্রে জরুরি। ফলে তাঁদের পুলিশি হেফাজতের প্রশ্ন ওঠে না। আদালত তাঁদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এ দিনই তাঁদের তিহাড়ে পাঠানো হয়।
মুখ্যসচিবের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে। পরের দিনই কর্মবিরতিতে নামা দিল্লির আমলারা কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা বলেছেন, কেজরীবাল ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমলারা বৈঠক করবেন না। দিল্লি-বিজেপির নেতা মনোজ তিওয়ারি গোটা ঘটনাকে ‘শহুরে জঙ্গিপনা’ বলেছেন। কংগ্রেসেরও দাবি, অবিলম্বে ক্ষমা চান কেজরীবাল ও তাঁর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy