মনার্ক শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
জয়পুরের মতো তথাকথিত ছোট শহরেই পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা। কিন্তু, নিজের স্বপ্নকে ছোট গণ্ডিতে বেঁধে রাখেননি তিনি। বরং স্বপ্নের উড়ানেই পৌঁছে গিয়েছেন সাফল্যের শিখরে। মার্কিন সেনাবাহিনীতে বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন জয়পুরের ছেলে মনার্ক শর্মা। তাঁর বার্ষিক আয়? ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা!
মনার্কের পরিবার জানিয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীতে এএইচ-৬৪ই কমব্যাট ফাইটার হেলিকপ্টার ইউনিটের বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করবেন মনার্ক। টেক্সাসের ফোর্ট হুডে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে অফিস তাঁর। চলতি বছরে সেনাবাহিনীর ফাইটার কপ্টারগুলির ডিজাইন, পরিদর্শন, উত্পাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণের দেখভালের দায়িত্ব বর্তেছে তাঁর উপর।
আরও পড়ুন
বিধানসভায় নকল ভোটযন্ত্র এনে ‘কারচুপি’ দেখাল আপ, তীব্র নিন্দায় বিজেপি
রাজ্য সরকারি চাকুরের ছেলের এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত জয়পুর। পাড়াপড়শিরা জানিয়েছেন, শহরের ভগবান মহাবীর জৈন স্কুলের পড়ুয়া ছিল মনার্ক। মনার্কের পরিবার জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞান ও সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত অস্ত্রের দিকে ঝোঁক ছিল তাঁর। সেই ইচ্ছাতেই ভর করে গত ২০১১ ও ’১২-তে যথাক্রমে নাসার মুন বাগ্গি প্রজেক্টে ও লুনা বোট-এর প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। বিশ্বজোড়া সেই প্রজেক্টে সেরার শিরোপা জিতে নেন মনার্ক ও তাঁর টিম। পাশাপাশি, লুনা বোট প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান পান তিনি। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মনার্ককে। গত বছর গ্রিন কার্ডের পাশাপাশি নাসা থেকে চাকরিরও সুযোগ পান। ২০১৩-তে নাসার মাস কমিউনিকেশন বিভাগে জুনিয়র গবেষক হিসাবে যোগ দেন মনার্ক। এর পর গত বছর মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ শুরু করেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন জয়পুর ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশনের এই স্নাতক। গত বছরই জিতে নেন আর্মি সার্ভিস মেডেল ও সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড।
নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে মনার্ক বলেন, “ভারতীয় সেনায় কাজের সুযোগ না মিললেও দেশকে গর্বিত করা আমার লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy