Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রাথমিক ভাবে কোনও প্রমাণ মেলেনি তাঁর বিরুদ্ধে। তাই আজ বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। আর এক অভিযুক্ত, সাসপেন্ড হওয়া সেনা অফিসার প্রসাদ পুরোহিতের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে বম্বে হাইকোর্ট।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০২
Share: Save:

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রাথমিক ভাবে কোনও প্রমাণ মেলেনি তাঁর বিরুদ্ধে। তাই আজ বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। আর এক অভিযুক্ত, সাসপেন্ড হওয়া সেনা অফিসার প্রসাদ পুরোহিতের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। প্রজ্ঞার আত্মীয় ভগবান ঝা জানিয়েছেন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই ৯ বছর প্রজ্ঞাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে উৎসব করবেন তাঁরা।

মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে ২০০৮-এ ‘শাকিল গুডস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি’ নামে এক সংস্থার দফতরের কাছে মোটরবাইকে বিস্ফোরণ হয়। মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা সাধ্বী প্রজ্ঞা, প্রসাদ পুরোহিত-সহ ১২ জন ‘হিন্দু জঙ্গি’র বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পরে তদন্ত যায় এনআইএ-র হাতে। তারা অতিরিক্ত চার্জশিটে জানায়, প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।

প্রজ্ঞার আইনজীবীরা জানান, যে মোটরবাইকে বিস্ফোরণ হয়েছিল সেটি প্রজ্ঞার বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেটি যে ২০০৪ সালে তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের জন্য ফরিদাবাদে এক বৈঠকে প্রজ্ঞা হাজির ছিলেন বলেও অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। কিন্তু তারও প্রমাণ মেলেনি।

সাসপেন্ড হওয়া সেনা অফিসার পুরোহিতের বিরুদ্ধে অবশ্য তথ্যপ্রমাণ আছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে হাইকোর্ট। যদিও তাঁর আইনজীবী শ্রীকান্ত শিভাড়ের দাবি, পুরোহিতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। শিভাড়ের দাবি, সেনা গোয়েন্দা দফতরের অফিসার হিসেবে পুরোহিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। সে কাজ করতেই তিনি মালেগাঁও বিস্ফোরণের জন্য দায়ী জঙ্গিদের দলে ভিড়েছিলেন। পরে তাঁকে ওই মামলায় ফাঁসানো হয়। কারণ, ইসলামি জঙ্গি সংগঠন সিমি সম্পর্কে তাঁর কাছে এমন তথ্য রয়েছে, যাতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিপাকে পড়তে পারেন ।

অন্য বিষয়গুলি:

Sadhvi Pragya Singh Thakur Malegaon blast case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE