ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল পালানোয় বাবার হাতে বেধড়ক মার খেয়েছিল বছর তেরোর ছাত্র। তার বদলা নিতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত বাবাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। বাবা বাবুলাল গুর্জরকে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে-সহ তিন জনকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের উজ্জয়িনী জেলায় সিলোড়িয়া গ্রামের ঘটনা। শীঘ্রই তাদের আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
এ দেশের মুসলিমরা অস্বস্তিতে, হামিদের মন্তব্যে ‘রাজনীতি’ দেখছে বিজেপি
ইনদওরের ভাটপাচলানা থানার ইন্সপেক্টর অমিত ভাবর জানিয়েছেন, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে দিন দশেক আগে মেরেছিলেন তার বাবা। তারই বদলা নিতে মঙ্গলবার দু’জন বন্ধুর সাহায্যে বাবাকে খুন করেছে বছর তেরোর ছেলেটি।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবাকে খুন করতে ছেলেটি তার এক আত্মীয় ও বন্ধুর সাহায্য নিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৩টের সময় তাদের ছেলেটি নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে মা শিবা বাঈ সেই সময় তাঁর ভাইয়ের বাড়ি সিপাওয়ারা গিয়েছিলেন। অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বাবা। ওই দু’জন বাড়িতে এলে বাবাকে খুন করার পরিকল্পনার কথা তাদের জানায় ছেলেটি। তাদের নিয়ে যায় বাবার শোওয়ার ঘরে। তার পর একটি ধারালো কুড়ুল দিয়ে ঘুমন্ত বাবুলালকে বারবার কোপাতে থাকে তারা। প্রমাণ লোপাটের জন্য বাবুলালের নিথর দেহ কম্বলে মুড়ে তা বাড়ির অদূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে আসে তিন জনে।
আরও পড়ুন
ডোকলাম আমাদেরই, চিনের দাবি নস্যাৎ করে বলল ভুটান
পুলিশ আধিকারিকের দাবি, “অভিযুক্তেরা ভেবেছিল, ওই এলাকায় বড় বড় ঘাস থাকায় বাবুলালের দেহ সহজে চোখে পড়বে না। এর পর বাড়ি ফিরে এসে খাট থেকেও রক্তের দাগ মুছে ফেলে তারা। কুড়ুলের গায়ে লেগে থাকা রক্তও ধুয়েমুছে সাফ করে দেয়। এমনকী, নিজেদের রক্তমাখা জামাকাপড়ও পুড়িয়ে দেয়।” পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খুব স্বাভাবিক আচরণ ছিল ছেলেটির। বন্ধুদের সঙ্গে এলাকায় একটি ধর্মীয় মিছিলও দেখতেও যায় ছেলেটি।’’
আরও পড়ুন
শশীকে ধাক্কা দিয়ে হাত মেলানোর পথে পনীর-পলানী
বাবুলালের খোঁজ না মেলায় পুলিশকে জানায় তাঁর পরিবার। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ছাত্রের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। এর পরেই পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা কবুল করে বছর তেরোর ছেলেটি। তখন সে তার সারা শরীরে বাবার মারের দাগও পুলিশকে দেখায়। কবুল করে, বদলা নিতেই বাবাকে সে খুন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy