মূলমন্ত্র একটাই, ‘ম্যায় কুছ ভি কর সকতি হুঁ’। শুধু একটা নাম নয়, গল্পের প্রত্যেকটা বাঁধুনিতে, দৃশ্যে, প্রেক্ষাপটে মাথা উঁচু করে সেটাই বলছে অনন্য এই টিভি শো। দেশের কোটি কোটি মেয়ের মনের মধ্যে গুমরে থাকা, না বলা কথাগুলোকেই যেন ফলাও করে বলতে চাইছে ‘ম্যায় কুছ ভি কর সকতি হুঁ’। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দর্শক সংখ্যা নিয়ে দেশের মধ্যে এক নম্বরে এই টিভি শো।
‘আমি একজন মহিলা, আর আমি সব কিছুই করতে পারি’— এটাই ট্যাগ লাইন। ২০১৪-র মার্চ মাসে ডিডি ন্যাশনালে প্রথম টেলিকাস্ট হয়েছিল সেক্স এডুকেশন এবং নারী অধিকার রক্ষা নিয়ে তৈরি ‘ম্যায় কুছ ভি কার সকতি হুঁ’। প্রথম থেকেই গল্পের স্বাতন্ত্রে নজর কেড়েছিল দর্শকদের। শুধু ভারতেই নয়, প্রায় ৫০টি দেশ থেকে দেখা যায় মূলত হিন্দি ভাষায় সম্প্রচারিত এই টিভি শো। তিন বছর পেরিয়ে ৪০০ মিলিয়ন দর্শক সংখ্যা নিয়ে সেই টিভি শো-ই এখন ‘নম্বর ওয়ান’।
চিকিৎসক স্নেহা এই শোয়ের মূল চরিত্র। প্রতাপপুরের মতো গণ্ডগ্রাম এই গল্পের আরও এক মুখ্য ‘চরিত্র’। বাল্য বিবাহ, কন্যাভ্রূণ হত্যা, গার্হস্থ্য হিংসা, অপরিণত মাতৃত্ব যেখানে রোজকার খাবারে ডাল-ভাত-রুটির মতো। সেই গ্রামকে কেন্দ্র করেই লড়াইটা শুরু করে স্নেহা। থুড়ি স্নেহার মতোই লক্ষ লক্ষ বঞ্চিত ভারতীয় নারী।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে এই আচরণগুলোর সঙ্গে ‘মানিয়ে’ নেবেন না, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন
ডিডি ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ১৩টি ভাষায় ২১৬টি দূরদর্শন কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত হয় এই টিভি শো। শো-তে দেখানো বেশির ভাগটাই সত্য ঘটনা এবং বাস্তব পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি। পাশাপাশি পরপর দু’টি সিরিজের বিপুল সাফল্যের পর খুব শীঘ্রই তৃতীয় সিরিজ সম্প্রচারের পরিকল্পনা করছেন দৃরদর্শন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy