বলিউড কাপল বিপাশা বসু-কর্ণ সিংহ গ্রোভারের এক সঙ্গে যোগাভ্যাসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। লারা দত্ত, মন্দিরা বেদী, সোহা আলি খানদের প্রেগন্যান্সিতে যোগাভ্যাসের ছবি দেখে রোজ অনুপ্রাণিত হচ্ছেন মিলেনিয়ালরা। যোগাভ্যাসকে অন্য এক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। বিপাশা-কর্ণের মতো ফিটনেস ফ্রিক কাপলের সংখ্যা কিন্তু এই প্রজন্মে বেড়েই চলেছে। খাওয়া-দাওয়া, লাইফস্টাইল প্রায় সব কিছুই বদলে গিয়েছে এই প্রজন্মের। প্রায় সকলেরই স্মার্টফোনে দেখা যায় কোনও না কোনও হেলদি ইটিং, এক্সারসাইজিং, মাইন্ডফুলনেস অ্যাপস। ফিটনেস ট্র্যাকিং অ্যাপ কব্জিতে বেঁধে জীবনের দৌড়ে সামিল তাঁরা। ছুটির দিনে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের বাস্কেট নিয়ে বসে এক সঙ্গে সিনেমা দেখে সময় কাটানোর থেকে তাদের অনেক বেশি টানছে এক সঙ্গে জিম বা যোগ সেশনের পর হেলদি স্মুদি।
হনিমুনে গিয়েও জিম, এক্সারসাইজ থেকে দূরে থাকার কথা ভাবতে পারেন না তাঁরা। আর তাই এই প্রজন্মের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে নতুন একটি শব্দ। যোগামুন। যেখানে পাহাড়, সমুদ্র, নির্জন কোনও দ্বীপে গিয়ে যোগাভ্যাসের মাধ্যমেই হনিমুন উপভোগ করছেন এরা। গত দু’বছরে সারা বিশ্বে যোগের প্রচারও অনেকটাই জনপ্রিয় করে তুলেছে যোগামুন। সেই সঙ্গেই বেড়েছে ভ্রমণের গুরুত্ব। সুস্থ জীবনের জন্য ভ্রমণ আর শরীরচর্চার ভূমিকা যে কতখানি তা সম্পর্কে সচেতনতা ক্রমশই ‘হ্যাপেনিং’ করে তুলছে যোগামুন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব যোগ দিবসে জেনে নিন ভারতের ১০ উল্লেখযোগ্য রিট্রিট কেন্দ্রের কথা
স্বামী-স্ত্রী বা পার্টনাররা এক সঙ্গে যোগাভ্যাস যে একে অপরকে আরও গভীর ভাবে বুঝতে, সম্পর্ক সহজ করতে সাহায্য করে সে কথা মনোবিদ, ফিটনেস এক্সপার্টরা বার বারই বলেছেন। আর তাই স্ট্রেস, সম্পর্কে দূরত্ব কাটাতেও যোগামুন বেছে নিচ্ছেন অনেকে। ঋষিকেশ, গোয়া, কেরলের মতো ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের যোগ রিট্রিট কেন্দ্রগুলোতে দেশীয় যুগলদের পাশাপাশি ভিড় জমাচ্ছেন বিদেশিরাও। তেমনই তুরস্ক ও সাইকোসের প্যারট কে, মেক্সিকোর তুলুমের আমানসালার মতো যোগকেন্দ্রগুলোতে গেলেও দেখা মিলবে ভারতীয়দের। শুধু অল্পবয়সীরাই নন, বয়স্ক দম্পতিরাও তাদের সম্পর্ক সুন্দর করতে বেছে নিচ্ছেন যোগামুন। মানসিক ভাবে স্ট্রেসমুক্ত, সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি তারা কাটিয়ে উঠতে পারছেন নানা শারীরিক সমস্যাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy