প্রথমে থার্টিফার্স্ট নাইট। রাত পোহালেই নতুন বছরের হুল্লোড়। তার সঙ্গে আবার উইকএন্ড। দেদার ফূর্তির সব অজুহাত এক সঙ্গে হাজির।
শরীরকে যে কতটা অনিয়ম সইতে হবে বোঝাই যাচ্ছে। রোজ ড্রিঙ্ক করা বা দিনভর মদে ডুবে থাকা মোটেই ভাল নয়। কিন্তু, বন্ধু-বান্ধবের আবদার, বিভিন্ন পার্টি অ্যাটেন্ড করার বাধ্যবাধকতা আর হুল্লোড়ের হাতছানি উপেক্ষা করাও বেশ কঠিন। তাই কিছু টিপস মাথায় ঢুকিয়ে নিন। জেনে রাখুন, বেশি মদ্যপান করেও ফিট তাকবেন কীভাবে:
১. শরীর কী বলছে বোঝার চেষ্টা করুন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ড্রিঙ্ক করার পর যদি মনে হয় অস্বস্তি বোধ করছেন, সময় নিন। নতুন পেগ নেবেন না। শরীরকে কিছুটা ধাতস্থ হতে দিন। তার পর আবার নতুন পেগ নেওয়ার কথা ভাববেন।
২. কোন ধরনের ড্রিঙ্ক আপনি নিচ্ছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। মনে রাখবেন, বিয়ার খেলে শরীরে অ্যালকোহল ঢুকছে ৬ শতাংশ। আর যখন হুইস্কি খাচ্ছেন, তখন প্রায় ৪০ শতাংশ অ্যালকোহল। তাই বিয়ার খেলে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যেতে পারে, হুইস্কি খাওয়ার সময় তা করলে চলবে না। সময় নিয়ে খেতে হবে।
৩. খালি পেটে ড্রিঙ্ক করবেন না। শরীরের ক্ষতি তো হয়ই। খুব তাড়াতাড়ি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণও চলে যায়। তাই ড্রিঙ্ক করার ফাঁকে ফাঁকে অল্পবিস্তর খেয়ে নিন। অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খবর খান। বেশি ভাজাভুজির দিকে না যাওয়াই ভাল।
৪. জল বেশি করে খেতে ভুলবেন না। মদ্যপান শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাই দিনভর পার্টিতে মেতে থাকলেও, মাঝে-মধ্যে জল আর খাবার খেয়ে নেওয়ার কথা কিছুতেই ভুললে চলবে না।
৫. মদ্যপানের সঙ্গে ক্লান্তি যোগ হলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। কয়েকদিন বন্ধুবান্ধব আর কাছের মানুষদের নিয়ে টানা মজা করতে হবে তো। তাই ক্লান্ত হলে চলবে না। এক ডেস্টিনেশন থেকে অন্যটায় পৌঁছনোর মাঝে অবশ্যই একটু ফাঁক রাখুন। সেই সময়ে ঘুমিয়ে নিন কয়েক ঘণ্টা।
৬. হালকা চালে থাকুন। ঠান্ডা থাকুন। ড্রিঙ্ক করে বেশি পরিশ্রম নয়। আর রোদে যাবেন না। এমনিতেই ড্রিঙ্ক করলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় বেশি হারে। তার মধ্যে রোদে বা উষ্ণতার মধ্যে থেকে ঘাম ঝরানোর প্রয়োজন নেই।
সামান্য এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন। টানা তিন-চার দিনের পার্টি, ফূর্তি, হুল্লোড়ও আপনাকে বেসামাল করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy