দেখতে অনেকটা ইলিশের মতো। খেতেও সুস্বাদু। প্রায় হারি য়ে যাওয়া ‘চাপিলা’ মাছের রকমারি পদের দেখা মিলবে পয়লা বৈশাখে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নলবন ফুডপার্ক, নবান্ন ও ইকো পার্কে মৎস্যপ্রেমী বাঙালিদের জন্য এলাহি আয়োজন করছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম।
ফিলিপিন্সের সামুদ্রিক মাছ ‘চ্যানোস’ এখন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার হেনরি আইল্যান্ডে নিগমের জলাশয়ে চাষ হচ্ছে। নিগমের তিনটি স্টলে থাকবে সরষে, নারকেল, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে চ্যানোস মাছের ভাপা। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা হারিয়ে যাওয়া মাছ, নতুন মাছ চাষ শুরু করেছি। নববর্ষে সেগুলির নানা পদ থাকছে।’’ থাকছে শিশু, প্রবীণদের জন্য বিশেষ ছাড়ও। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘প্রবীণদের জন্য নিগমের স্টলে ১৫ শতাংশ ছাড় থাকছে।’’ এ ছাড়া, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত নলবনে ঢুকতে কোনও টাকা লাগবে না বলে জানান এমডি । নববর্ষে শহরের দু’টি হোমের অনাথ শিশুদের বিনামূল্যে মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও তাদের হাতে উপহার তুলে দেবে নিগম।
এক সময়ে পূর্ববঙ্গে দেখা মিলত চাপিলা মাছের। এখন তা হারিয়ে যেতে বসলেও রাজারহাটের কাছে হিডকোর জলাশয়ে তা চাষ হচ্ছে বলে জানান মৎস্য দফতরের কর্তারা। ছ’মাস আগে হিডকোর প্রায় ১২৪ হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষের দায়িত্ব নেয় রাজ্য মৎস্য নিগম। নিগমের এক কর্তা বলেন, ‘‘চাপিলা মাছকে বাঙালির পাতে ফিরিয়ে দিতে থাকছে নানা পদ।’’ সরষে-বেগুন-আলু দিয়ে চাপিলার বাটি চচ্চড়ি, চাপিলা ভাজা ছাড়াও থাকছে বড়ি-বেগুন দিয়ে বোয়ালের ঝোল, আমশোল, গুগলির হরেক পদ। মিলবে গুগলি চপ, গুগলি পোস্ত, পটল গুগলিও। থাকবে চিংড়ি শুটকি, লটে শুটকি, ইলিশ শুটকি। তিনটি স্টলই খোলা থাকবে সকাল এগারোটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘শোল, শাল মাছ এখন দেখা যায় না। নলবনের জলাশয়ে এই মাছ চাষ হচ্ছে। জলাশয়ের টাটকা মাছের স্বাদ নিতে পারবেন বাঙালিরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy