ছবি: সংগৃহীত।
আমাদের দেশে মানবদেহে ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসে দু’ধরনের মশা। এডিস ইজিপ্টা এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস। আর পাঁচটা ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ডেঙ্গি জ্বরের খুব একটা তফাৎ না থাকলেও বর্তমানে তা বেশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর হার। নিত্যনতুন উপসর্গের পরিবর্তন চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদেরও।
আরও পড়ুন: জ্বরে মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলে সাবধান
ডেঙ্গিতে জ্বর থাকে মোটামুটি পাঁচ দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত। জ্বর যত ক্ষণ থাকছে তত ক্ষণ কোনও বিপদ কিংবা সমস্যা হয় না। জ্বর কমতে শুরু করলেই প্লেটলেট কমে যাওয়া সমেত অন্যান্য জটিল উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। কিন্তু এ বার ডেঙ্গি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জ্বর থাকাকালীন প্লেটলেট কমতে শুরু করছে। এবং দ্রুত সেই কাউন্ট কমে যাচ্ছে। এ ছাড়াও দেহের প্রায় সব অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্ত রকম মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও দ্রুত রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ডায়াবিটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এক রকম। ‘‘ডেঙ্গি থেকে আমরা প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। এ বিষয়ে আমাদের আরও নতুন করে শিখতে হবে। জানতে হবে’’, জানালেন চিকিত্সক বিভূতি সাহা।
আরও পড়ুন: মাছ আর ফলে জব্দ ডেঙ্গির দুর্বলতা
এ বছর আরও দেখা গিয়েছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়তে বেশ সময় লেগে যাচ্ছে। প্রায় তিন থেকে চার দিন। আবার অনেক ক্ষেত্রে এ রকমও হচ্ছে যে, ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে শরীরে বাসা বাঁধছে অন্য কোনও ইনফেকশন। কিছু ক্ষেত্রে মূলত শিশুদের জ্বর হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হচ্ছে। বাড়ির লোকের বোঝার অবকাশটুকু থাকছে না। আবার বেশ কিছু শিশু হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস নিয়ে। জ্বরের সঙ্গে তাদের খিঁচুনি হচ্ছে, দ্রুত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy