ফাইল চিত্র।
মোক্ষম সময়ে ফের জ্বলে উঠলেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করে ইরানি ট্রফি ছিনিয়ে আনলেন তিনি। তবে তার থেকেও বড় কথা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও উইকেটকিপার ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। আর শতরান করে ঋদ্ধিকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন চেতেশ্বর পূজারা।
সোমবার জানিয়েছিলেন, তাঁর লড়াইটা পার্থিব পটেলের সঙ্গে নয়। কিন্তু, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপারের জায়গাটা নিয়ে ঋদ্ধির লড়াই যে পার্থিবের বিরুদ্ধেও সেটা কারও অজানা নয়। তবে এ দিন দ্বিশতরানের পর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ পার্থিবকে কয়েকশো মাইল পিছনে ফেলে দিলেন ঋদ্ধি। চোট-আঘাতের মতো কোনও অঘটন না হলে আগামী মাসে অজিদের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানোটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেন তিনি।
আরও পড়ুন
ধোনির দেওয়া উপহারটা মনে রেখে দেবেন কোহালি
জরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে কোন রান না পেলেও গতকালই ঋদ্ধির ব্যাট থেকে এসেছে ঝকঝকে শতরান। তবে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৯ রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিনে অবশিষ্ট ভারতের প্রয়োজন ছিল ১১৩ রানে। তা-ও ২০ ওভারের মধ্যে। এ দিন সে চ্যালেঞ্জটাও নিলেন ঋদ্ধি। ২৭২ বলে ২৬টা চার ও ৬টা ছয়ে সাজানো ছিল তাঁর অপরাজিত ২০৩। ঋদ্ধির পাশাপাশি ঝলসে উঠল পূজারা ব্যাটও। ইংল্যান্ড সিরিজের ফর্মেই ব্যাট করলেন তিনি। ২৩৮ বলে করলেন অপরাজিত ১১৬ রান। শেষমেশ পঞ্চম উইকেটে ৩১৬ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপের জোরেও ৬ উইকেটে ট্রফি জিতল অবশিষ্ট ভারত।
ম্যাচের সেরা ঋদ্ধি বলেন, “প্রথম ইনিংসে একটা ফুল ডেলিভারিতে আউট হয়েছিলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আমি অ্যাটাক করা শুরু করি।” পূজারা পাশে থাকায় বেশ সুবিধাই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পূজারা আমাকে বার বার বলছিল, আমি যাতে চালিয়ে খেলি।” সেই চালিয়ে খেলার নমুনাও দেখল মুম্বই। শেষ ৮০ রান তুললেন ঝোড়ো ব্যাটিং করে। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে অজিদের কপালে কিন্তু বেশ দুঃখ আছে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গুজরাত: ৩৫৮ ও ২৪৬
অবশিষ্ট ভারত: ২২৬ ও ৩৭৯-৪ (১০৩.১ ওভার)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy