এই মাশরাফিকে আজ মাঠে চান প্রাক্তনরা।
তাসকিন আহমেদ বিশ্বকাপের মধ্যেই নির্বাসিত হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। মাশরাফি মর্তুজার সেই কান্নার ছবি ক্রিকেটবিশ্বে এত দিনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তুমুল লড়েও টিম হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপে টিকে থাকাই এখন অনিশ্চিত। বুধবার ভারত ম্যাচ। আদতে যা প্রায় সম্মান-যুদ্ধ। তার আগে বর্তমান অধিনায়কের উদ্দেশ্যে মরণ-কামড়ের টোটকা পদ্মাপার থেকে ফোনে দিলেন দুই প্রাক্তন বাংলাদেশ অধিনায়ক। যার মধ্যে হাবিবুল বাশার ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কও ছিলেন...
মহম্মদ আশরাফুল
মাশরাফি, তোমাকে প্রথমেই একটা কথার বলার আছে। গত কাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তোমার মনোভাব আমার ভাল লাগেনি। ট্যাকটিক্যাল কিছু ভুল হয়েছে। তোমাকেও দেখে মনে হচ্ছিল যে, ভেতরে ভেতরে ভেঙে গিয়েছ। কিন্তু ভারত ম্যাচ বার করতে গেলে তোমার পুরনো সাহসটা লাগবে।
তাসকিনদের ঘটনাটা ভুলে যাও। চিন্নাস্বামী পিচ নিয়ে বেশি ভেবো না। ভারত স্লো টার্নার দিলেও অসুবিধে নেই। স্লো উইকেটে মুস্তাফিজুর আরও ভয়ঙ্কর। আল-আমিন, তোমার বোলিংয়েও কাজ হবে। ব্যাটিং লাইন আপের টপ থ্রি-কে বলো, আগ্রাসী খেলতে। বোঝাও যে ওদের হারানোর কিছু নেই। তোমার টিমের প্লাস হল, সিনিয়ররা ভাল করছে। সাকিব তো অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিল। এ বার জুনিয়রদের থেকে সেরাটা বার করো। আর তুমি সেই পুরনো মাশরাফিকে ফিরিয়ে আনো। বিশ্বকাপে আছো না নেই ভেবো না, টেনশন কোরো না। বরং ভাবো, ফেভারিটরাও রোজ জেতে না।
হাবিবুল বাশার
আমি মাশরাফির জায়গায় কাল থাকলে একটা জিনিস করতাম। মাঠে নামার আগে টিমকে বলতাম যে, তাসকিন আর সানি বিশ্বকাপে নেই, সেটা অবশ্যই দুঃখের। কিন্তু সেই দুঃখ দিয়ে আমরা ভারতকে হারাতে পারব না। বরং নিজেদের সিস্টেম থেকে ওই দু’টো নাম বার করে দাও। টিমের শক্তি নিয়ে ভাবো। তাসকিন নেই, মুস্তাফিজুর তো রয়েছে।
মুস্তাফিজকে প্রথম দিকে একটা ওভার করিয়ে সরিয়ে নিক মাশরাফি। একটা রাখুক মিডল ওভারে, বাকি দু’টো ডেথে। নাসিরের মতো অভিজ্ঞ স্পিনার খেলানো নিয়েও ভাবা হোক। সবচেয়ে বড়, টিমের ব্যাটসম্যানদের বলা হোক ১৭০ প্লাস দিতে। নইলে ভারতীয় ব্যাটিংকে হারানো যাবে না।
আর মাশরাফি, আমি জানি তুমি আবেগপ্রবণ। কিন্তু এত ভেঙে পড়বে কেন? মানছি আইসিসির ওই একটা সিদ্ধান্তে টিমের পরিকল্পনাটাই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে সব শেষ হয়ে গেল। এর আগেও তো অনেক ম্যাচ খেলেছ যেখানে কখনও তামিম, কখনও সাকিব নেই। তার পরেও কি গত দেড় বছরে স্মরণীয় জয় দাওনি? আমরা এ বার হয়তো আর বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যেতে পারব না। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ভাল করলে সবাইকে বোঝানো যাবে মাশরাফি মর্তুজা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও লড়াই ছাড়ে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy