জুটি: লিয়েন্ডারকে দেখা যেতে পারে কোর্টে। মহেশ দল চালাবেন নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে। ফাইল চিত্র
প্রশ্ন: আবার ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফেরা। সেই তেরঙ্গা। এ বার নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে। কতটা উত্তেজিত আপনি?
মহেশ ভূপতি: আমি এই ভূমিকাটা উপভোগ করতে চাই। আমার সামনের রাস্তায় চ্যালেঞ্জ থাকবে, মজা থাকবে, আবেগ থাকবে। আপনি যেমন বললেন, উত্তেজনাও থাকবে। তবে আসল হচ্ছে, এই ভূমিকাটা আমি ঠিক মতো পালন করতে পারলাম কি না। আমাকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের সেরাটা দেওয়াই আমার প্রথম লক্ষ্য।
প্র: ভারতীয় টেনিস নিয়ে আপনার কোনও ‘ভিশন প্ল্যান’ থাকছে?
মহেশ: ভারতীয় টেনিসের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ডেভিস কাপকে কেন্দ্র করেই হতে যাচ্ছে। তাই আমার ভারতীয় টেনিস নিয়ে কোনও ভিশন স্টেটমেন্ট দেওয়ার নেই। ডেভিস কাপের দলকে সাফল্যের রাস্তা দেখানোটাই আমার কাজ হবে। আমরা ছ’জনের স্কোয়াড বেছে নিয়েছি পরের টাইয়ের জন্য। সেখান থেকে সবচেয়ে ফিট এবং ফর্মে থাকা চার জনকে বেছে নেওয়া হবে চূড়ান্ত দলের জন্য। সর্বোপরি ভারতীয় টেনিস নিয়ে ঠিক ভাবছি না। আমার ভাবনায় এখন শুধুই ডেভিস কাপ।
প্র: ভারতীয় টেনিস একটা পরিবর্তনের যুগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নব্য প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে। নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে যদি অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তার জন্য কতটা মানসিক ভাবে তৈরি আপনি?
মহেশ: আমি কিন্তু কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত বা বৈপ্লবিক পদক্ষেপ করার কথা মাথায় ঢুকিয়ে বসে নেই। ও ভাবে আমি দেখছিই না ব্যাপারটা। হয়তো আপনারা মিডিয়ার প্রতিনিধিরা সে ভাবে ভাবছেন। হ্যাঁ, আমি প্রস্তুত। তবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নয়। আমাদের টিমের স্বার্থে যেটা ভাল, তা করার জন্য। আর সেই প্রয়োজনের জায়গাগুলো ভাল ভাবে বুঝতে পারব, ছেলেদের সঙ্গে দেখা হলে। এই মুহূর্তে আমার সঙ্গে ওদের শুধু ই-মেল বা ফোনেই যোগাযোগ হয়েছে।
প্র: ডেভিস কাপের দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে র্যাঙ্কিংকে কতটা গুরুত্ব দেবেন? (এই মুহূর্তে ডাবলস র্যাঙ্কিংয়ে লিয়েন্ডারের চেয়ে অনেক এগিয়ে রোহন বোপান্না)।
মহেশ: একেবারেই না। ডেভিস কাপে র্যাঙ্কিং ততটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। অনেক জরুরি হচ্ছে ফিটনেস, এনার্জি লেভেল আর সাম্প্রতিক ফর্ম। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থেকেও খেলতে নেমে কেউ হেরে যেতে পারে যদি পুরোপুরি ফিট না থাকে।
প্র: সেই কারণেই কি ফিটনেসকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন?
মহেশ: হ্যাঁ, ফিটনেসকে গুরুত্ব দিতেই হবে। উজবেকিস্তান টাইয়ের আগে আমরা হয়তো কয়েক দিন এক সঙ্গে প্র্যাকটিসও করব।
প্র: খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজের প্রতি নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন মহেশ ভূপতির মনোভাব কী হতে যাচ্ছে?
মহেশ: শুনুন, আমার সঙ্গে লিয়েন্ডারের সম্পর্ক বহু দিনের। আমি ওকে যতটা ভাল করে চিনি, কেউ ও রকম চেনে না। আপনারা কেউ অতটা চেনেন না। মিডিয়া আমাদের দু’জনকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতে পারে কিন্তু আমরা জানি দু’জনের সম্পর্ক কোথায় দাঁড়িয়ে। আমি এটা নিয়ে ভাবছিই না। জানি ঠিক লি-র সঙ্গে মানিয়ে নেব।
প্র: ছ’জনের স্কোয়াডে তো লিয়েন্ডার আছেন। এর পর কী হবে? চূড়ান্ত দল বাছা নিয়ে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের অবস্থান কী?
মহেশ: আমি জানি এটা নিয়েও মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার অবস্থানটা হচ্ছে, সেরা ছ’জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সেরা চার জনকে নেওয়া হবে। আর সেটা করা হবে টাইয়ের দশদিন আগে। এটাই দল নিয়ে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের অবস্থান।
প্র: নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম টাই। উজবেকিস্তান দলে ডেনিস ইস্তোমিনের মতো খেলোয়াড় আছেন। প্রতিপক্ষ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
মহেশ: উজবেকিস্তান ভাল টিম। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে ভাবছি না। এক জনকে নিয়ে ভেবে অন্যদের হাল্কা ভাবে দেখাটা মোটেও ঠিক হবে না। দক্ষিণ কোরিয়াকে ওরা হারিয়েছে। সেই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ছিল ওদের। শুধু এক জনই ভাল, এমন কিছু ধরে নেওয়াটা তাই ঠিক হবে না। গোটা দলকে ধরেই আমাদের স্ট্র্যাটেজি করতে হবে। ম্যাচটা দল বনাম দল, ব্যক্তি বনাম ব্যক্তি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy