স্টার্কের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট কোহালি। শুক্রবার পুণেয়। ছবি: রয়টার্স।
দুঃস্বপ্নই বটে। নিজেদের ডেরায় অনামী এক স্পিনারের কাছে যে ভাবে ভারত পর্যুদস্ত হল, তাকে এক প্রকার হেনস্থাও বলা চলে।
এ ভাবে চোখের নিমেষে সাতটা উইকেট চলে যেতে আগে দেখা যায়নি। এগারো রানের মধ্যে সাতটা উইকেট পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই ধাক্কাটা খাওয়ার পর আবার ফিল্ডিং করতে নেমে ক্যাচ ফস্কে আরও বিপদে পড়ে গেল ভারত। এমন একটা দিন কাটানোর পর রাতটা যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিনিন্দ্র কাটবে সেটা আগাম বলা যায়। ভারতের গর্বকে এ ভাবে আঘাত করল যে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া শিবির নিশ্চয়ই উচ্ছ্বসিত নতুন নায়ককে পেয়ে। শেন ওয়ার্নের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া দলে কম স্পিনার আসেনি। বিশ্ব ক্রিকেটে স্পিনের বিরুদ্ধে অন্যতম সেরা ব্যাটিং দলের বিরুদ্ধে এ রকম দুরন্ত সাফল্যে স্টিভ ও’কিফ কিন্তু অনেকের থেকে এগিয়ে গেল বলাই যায়। ও’কিফের স্পিন যতটা সমস্যায় ফেলেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের, তার চেয়ে অনেক বেশি বিপদে ফেলে দিয়েছিল ওর বোলিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ দিয়ে। সঙ্গে ও’কিফ পুরোপুরি সমর্থন পেয়ে গিয়েছে ফিল্ডারদের। এ রকম একটা ব্যর্থতার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের লজ্জায় ডুবে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। শুধু ও’কিফই তো নয়, মিচেল স্টার্কও কম ধাক্কা দেয়নি বল হাতে ভারতকে। দুটো উইকেট তুলে নিয়েছে স্টার্ক। যার মধ্যে আবার একটা ভারতের সোনার ছেলে বিরাট কোহালির। স্টার্ক আঘাত হানছিল পেস, বাউন্স এবং হ্যাজলউড ম্যাকগ্রা-সম নিখুঁত বোলিং দিয়ে। এই জোড়া পেস আক্রমণের পর যেন ও’কিফের স্পিনে সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দলগত ব্যর্থতার দিক থেকে শুক্রবারটা বোধহয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে খারাপ গেল।
তবে পিচের কামড়ের থেকেও বোধহয় দলের জেতার খিদে ঠিকঠাক জায়গায় আছে কিনা সেটা নিয়ে বেশি দুঃশ্চিন্তা হওয়া উচিত ভারতের। টেস্টের বাকি সময়টা ভারতকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই হবে। এমনি এমনি তো আর দলটা বিশ্বের এক নম্বর নয়। এই টেস্টে যতটুকু সুযোগ বাকি আছে সেটার পুরো ফায়দা তোলার চেষ্টা করতেই হবে এ বার ভারতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy