মেহতাব-বিনীত। কেরলের ভরসা।
সিকে বিনীথের জন্য এই আইএসএলটা পুরো এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম। কোনও সন্দেহ নেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের তৃতীয় মরসুমে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বড় গল্প বিনীথ। লিগের মাঝপথে এসেও ঘরের ছেলে রূপকথার স্ক্রিপ্ট লিখে গেল। সমর্থকরা নিশ্চয়ই আশায় থাকবে, শেষ পর্যন্ত এ রকমই যাতে চলে।
আর একটা বড় ঘটনা আবার কেরল ব্লাস্টার্সের প্রত্যাবর্তন। প্রায় ছিটকে যাওয়ার মুখে ছিল। কিন্তু বিনীথের প্রবেশের পরে ব্লাস্টার্সও গর্জন শুরু করল।
আমার মতে দিল্লি ডায়নামোস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু এটাই দিল্লির সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ। এই ম্যাচটা যদি ওরা ড্র করতে পারে, তা হলেও সেটা দারুণ রেজাল্ট হবে। কারণ দ্বিতীয় পর্ব নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবে দিল্লি।
আজ আইএসএলে
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে মুখোমুখি কেরল ব্লাস্টার্স ও দিল্লি ডায়নামোস
(স্টার স্পোর্টস ১ সন্ধে ৭-০০)
ডায়নামোস পুরোপুরি আক্রমণাত্মক দল। মার্সেলো পেরেইরা, রিচার্ড গাদজে ও ফ্লোরেন্ত মালুদার ত্রিভূজ খুব মসৃণ ও নির্দয়। লিগ পর্বে দিল্লি ২৭ গোল করছে। এর থেকে কি বেশি কিছু বলতে হবে?
কিন্তু রক্ষণের দিক দিয়ে দিল্লিকে অতটা আঁটসাঁট দেখায়নি। এ রকম একটা অ্যাওয়ে ম্যাচে যেখানে ৬৫,০০০ ব্লাস্টার্স সমর্থকরা সব সময় চিৎকার করবে, দিল্লিকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনও গোল না খায়। পরিবেশটা সত্যিই ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারে, কিন্তু সেটা মাথায় রাখলে চলবে না।
পাশাপাশি খারাপ শুরুর পরে ব্লাস্টার্স আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অন্য দলের তুলনায় ওরাই সবচেয়ে বড় উদাহরণ যেখানে ভারতীয়রা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিনীথকে ছেড়েও মেহতাব হোসেন আর সন্দেশ ঝিঙ্গন দলে ভারসাম্য যোগ করেছে। যেখানে বুড়ো ঘোড়া সন্দীপ নন্দীকেও রাখতে হবে। যখন দরকার পড়েছে রফিক ও রফিও দুর্দান্ত পারফর করেছে।
ব্লাস্টার্স টিমের অনেক ফাঁকফোকড় ভারতীয়রা বন্ধ করে দিয়েছে। মাঠের মধ্যে ভারতীয়দের জেদটাই সাহায্য করেছে বিদেশিদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যার ফল হাতেনাতে পাওয়া গিয়েছে।
কিন্তু এ রকম একটা ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে আবার ব্লাস্টার্সের আত্মতুষ্ট হয়ে পড়লে চলবে না। সব কিছু হিসেব করে, গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যেতে হবে। ব্লাস্টার্সের সঙ্গে রয়েছে আবেগপ্রবণ একটা গ্যালারি। যেখানকার দর্শক তাদের প্রিয় দলের জন্য নব্বই মিনিট ধরে গলা ফাটাবে। এমন অনেক দল আছে, যারা কিক অফ থেকেই অল আউট আক্রমণে গিয়েছে। কিন্তু এ রকম স্ট্র্যাটেজির মাশুলও চোকাতে হয়েছে তাদের। ব্লাস্টার্সও সেই আক্রমণের রাস্তটা নিতে পারে। কিন্তু ঝুঁকির ব্যাপারটাও ওদের মাথায় রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy