Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sports News

দিদিকে দেখেই এক লাফে জিপ থেকে নামলেন দীপা

ভিড়ের মধ্যেই অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষায় ছিলেন লাল শাড়ির তরুণী। বোনের অপেক্ষা! গত দু’সপ্তাহে বোনের দুনিয়াটাই যেন উল্টেপাল্টে গিয়েছে। আগরতলার ছোট্ট আঙিনা থেকে এক ভল্টে রিওতে ঝাঁপ। এক লহমায় দুনিয়ার নজরে এনে দিয়েছে বোনকে। তাবড় জিমন্যাস্টদের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে রিওর ম্যাটে প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়েছেন তাঁর বোন দীপা কর্মকার।

উচ্ছ্বাসে ভাসলেন দীপা।

উচ্ছ্বাসে ভাসলেন দীপা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ১৫:৪৪
Share: Save:

ভিড়ের মধ্যেই অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষায় ছিলেন লাল শাড়ির তরুণী। বোনের অপেক্ষা! গত দু’সপ্তাহে বোনের দুনিয়াটাই যেন উল্টেপাল্টে গিয়েছে। আগরতলার ছোট্ট আঙিনা থেকে এক ভল্টে রিওতে ঝাঁপ। এক লহমায় দুনিয়ার নজরে এনে দিয়েছে বোনকে।

তাবড় জিমন্যাস্টদের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে রিওর ম্যাটে প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়েছেন তাঁর বোন দীপা কর্মকার। ফাইনালে চতুর্থ হয়েছেন। মাত্র ০.১৫ পয়েন্টের ব্যবধানে আসেনি অলিম্পিক্স পদক। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সিমোন বাইলসের মতো অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়নের প্রশংসা ছিনিয়ে এনেছেন। সোমবার রিও থেকে ঘরে ফিরলেন বোন। রাজ্য সরকারের সংবর্ধনার আয়োজনে তিনি ছিলেন না। বোনকে আনতে এ দিন বিমানবন্দরেও যাননি তিনি। বাড়ির সামনে ভিড়ের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়ে জনসমর্থনের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন দীপা। হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা দিদির দিকে চোখ পড়ল দীপার। এক লাফে জিপ থেকে নেমে দু’হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরলেন দিদিকে। অলিম্পিক্সের জিমন্যাস্ট নন। তখন তিনি শুধুই ছোট বোন!

এ দিন ত্রিপুরা সরকারের তরফে দীপাকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আগরতলা বিমানবন্দরে নামতেই দীপাকে নিয়ে বাড়িতে পথে রওনা হয় একটা হুডখোলা জিপ। ঘরের মেয়ের ফেরার খবরে তেরঙ্গা হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। দীপা আর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীকে নিয়ে ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আস্তে আস্তে এগোচ্ছিল জিপ। এরই মাঝে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। উচ্ছ্বসিত দীপা বলেন, “ভীষণ আনন্দ হচ্ছে আমার। আজ কতটা খুশি হয়েছি আমি তা বলে বোঝাতে পারব না। আমার জন্য মানুষজন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছেন, এটা যে কী আনন্দের অনুভূতি! এঁদের প্রত্যেকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

চারের ইশারা। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর সঙ্গে দীপা কর্মকার।

ছাত্রীর সঙ্গে আবেগে ভাসছিলেন কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীও। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দীপাকে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। ২১ বছরের ছাত্রীর বেড়ে ওঠার দিনগুলোর কথা বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল তাঁর। কোনও রকম সরকারি সাহায্য নেই। অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। তা সত্ত্বেও হাল ছেড়ে দেননি তিনি। পুরনো ম্যাটের উপরেই দিনের পর দিন চলেছে প্র্যাকটিস। ভাঙাচোরা স্কুটারের অংশ দিয়ে জিমন্যাস্টিক্সের নানা কসরত করেছেন দীপা। পিভি সিন্ধু বা সাক্ষী মালিকের মতো পদক না জিতলেও তাই কোনও অংশে কম নয় দীপার কৃতিত্ব। বিশ্বেশ্বর বলেন, “দীপা পদক জিতলে ভাল লাগত। তবে তা সত্ত্বেও বলব, এটা দীপার অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট।”

আরও পড়ুন

নাতনি পরের বার ঠিক পদক আনবে

ছবি: পিটিআই।

অন্য বিষয়গুলি:

Rio Olympics Dipa Karmakar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE