শিলিগুড়িতে আই লিগ ডার্বির ফয়সলা হয়নি। দুই প্রধানের সমর্থকরাই তাই তাকিয়ে ফিরতি ডার্বির দিকে। ফেডারেশনের সূচিতে তা দেওয়া হয়েছে ৯ এপ্রিল। কিন্তু ম্যাচ কোথায় হবে তা নিয়ে ডামাডোল তুঙ্গে। টি ভি সম্প্রচারকারী সংস্থা বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তা জানাতে পারছে না ফেডারেশন। কারণ ম্যাচের সংগঠক মোহনবাগান এখনও কোথায় খেলবে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারছে না।
ফেডারেশন সূত্রের খবর, সময় ধরে রাখার জন্য (স্লট বুকিং) সম্প্রচারকারী সংস্থাকে অন্তত তিন মাস আগে মাঠ এবং সূচি জানানোটাই নিয়ম। সঞ্জয় সেনের টিমের কর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে সরকারি সিলমোহর পড়েনি। অনুমতি পাওয়া যায়নি পুলিশেরও। দিল্লি থেকে ফোনে আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, ‘‘টিভিকে বহুদিন আগে আমাদের জানানোর কথা ছিল কোথায় খেলা হবে। কিন্তু মোহনবাগানকে বারবার বলা সত্ত্বেও ওরা চূড়ান্ত করে কিছু জানাচ্ছে না। গত সপ্তাহে শেষ বার ওরা সময় চেয়েছিল। কিন্তু কোনও চিঠি আসেনি। ফলে সমস্যা হচ্ছে।’’
কোথায় ডার্বি খেলবেন তা কেন এখনও জানাতে পারছেন না? প্রশ্ন শুনে ক্ষিপ্ত মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত। বলে দিলেন, ‘‘পরিকাঠামো নেই। মাঠ নেই। আমরা তো চেষ্টা করছি। আই লিগ তো বাঁচিয়ে রেখেছি আমরা কলকাতার দু’দলই। আমাদের ছাড়া ফেডারেশনের অস্তিস্ত্ব কোথায়?’’
ডার্বি নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই কলকাতায় থাকা সনি নর্ডি, দেবজিৎ মজুমদার-সহ বাকি ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়লেন সঞ্জয় সেন। সোমবারই আইজল এফ সি-র কাছে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরু এফসি-ও পয়েন্ট নষ্ট করছে। মোহনবাগান কোচ যদিও বলে দিলেন, ‘‘আমাদের সামনেও কঠিন দিন আসছে। দশ দিনে চারটে ম্যাচ খেলতে হবে। টিম মিটিং-এ বলেছি, কে কী করছে, তা না ভেবে নিজেদের জিততে হবে।’’ কিংশুক দেবনাথ এবং রাজু গায়েকোয়াড়ের চোট। বাকি সবাই চোটমুক্ত। সনি নর্ডির চোট সেরে গিয়েছে। এ দিন তিনি পুরো অনুশীলন করেন। তা সত্ত্বেও সঞ্জয় বললেন, ‘‘বলবন্ত সিংহকে যা করেছি সনির ক্ষেত্রেও তাই করব। সব ম্যাচ খেলাব না। চোট সারিয়ে ফেরা ফুটবলার নিয়ে ঝুঁকি নেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy