গোলের পর মুলারকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের।
বায়ার্ন মিউনিখ ৫ (রবেন, লেওয়ানোডস্কি, আলকান্তারা-২, মুলার)
আর্সেনাল ১ (স্যাঞ্চেজ)
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবারের মিউনিখ দেখল বায়ার্নের একাধিপত্ত। জার্মান দল দেখাল রবেন, মুলাররাই কী ভাবে উড়িয়ে দিতে পারেন আর্সেনালকে। আর্সেনালকে ১-৫ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল মিউনিখের দল। এই ব্যবধান পেড়িয়ে জয় তুলে নেওয়াটা প্রায় অসম্ভব। ৮ মার্চ ফিরতি লিগের খেলা। আর্সেনালের কাছে এই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে, আরও একবার শেষ আটে পৌঁছনো হল না তাদের। অন্যদিকে, বায়ার্ন শিবিরে উৎসবের আমেজ। যদিও চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে আপাতত বায়ার্ন শিবিরে যুদ্ধের প্রস্তুতি।
আরও খবর: পিছিয়ে পরে ৩-১এ জয় পেল রিয়েল মাদ্রিদ
গোল হজম করছেন আর্সেনাল গোলকিপার ওসপিনা।
খেলা বলছে জিততে না পারলেও ওজিল, স্যাঞ্চেজরা লড়াইটা দিতেই পারতেন। অ্যালেক্সিস স্যা়ঞ্চেজ একমাত্র গোলটি পেলেন কোনও রকমে পেনাল্টি মিস করে। ততক্ষণে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। আর্জেন রবেনের ১১ মিনিটের গোলে বায়ার্নের এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস ৩০ মিনিটেই উড়ে গিয়েছিল আর্সেনাল পেনাল্টি পাওয়ায়। স্যা়ঞ্চেজের পেনাল্টি থেকে শট কোনও রকমে বাঁচিয়ে দেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। কিন্তু বলের দখল নিতে পারেননি তিনি। ফিরতি বলে গোল করে যান স্যাঞ্চেজ। এর পর প্রথমার্ধে কোনও গোল না হলেও ছিল লেওয়ানোডস্কির মিস, ন্যুয়ারের অসাধারণ সেভ। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১৬টি ম্যাচ জিতে পরের পর্বের দিকে পা বাড়াল বায়ার্ন। আর আর্সেনালের সামনে বায়ার্নের কাছে হেরে আবার ছিটকে যাওয়ার হাতছানি। ২০০৫, ২০১৩, ২০১৪র অ্যাকশন রি প্লে।
বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন রবেন ও ভিদাল।
প্রথমার্ধ কিছুটা হলেও সমানে সমানে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ লেখা থাকল বায়ার্নের নামেই। ৫৩ মিনিটেই রবার্ট লেওয়ানডস্কির গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। ফিলিপ লামের অসাধারণ অ্যাসিস্ট। ঠিক তিন মিনিটের মাথায় থিয়াগো আলকান্তারার গোলে ৩-১এ এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। পরের গোলটিও নিজের নামে লিখে নেন আলকান্তারা। পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেললেন আলকান্তারা। সব থেকে বেশি আর্সেনাল ডিফেন্সকে বেগ দিলেন তিনিই। শেষ বেলায় ওসপিনা দুরন্ত একটি সেভ না করলে গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। আলকান্তারা ৪-১ করার পর ৮৮ মিনিটে ৫-১ করে যান থমাস মুলার। তাঁর গোলের পিছনেও ভূমিকা রেখে যান আলকান্তারা। এখানেই শেষ হয় বায়ার্ন বনাম আর্সেনাল ম্যাচ।
ছবি: এএফপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy