ফেডারেশনের এ এক অভিনব নিয়ম। ম্যাচ শুরু করতে হবে অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবলার রেখে। কিন্তু ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে আর প্লেয়িং ইলেভেনে এই প্লেয়ার রাখা বাধ্যতামূলক নয়। এক সময় ইউনাইটেডের কোচ এলকো শাতোরিকে দেখা যেত ম্যাচ কিক-অফ হওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যেই জুনিয়র ওই ফুটবলারকে তুলে অভিজ্ঞ একজনকে নামিয়ে দিতে। তাতে একটি পরিবর্তন নষ্ট তো হতই সঙ্গে সেই জুনিয়র প্লেয়ারের মনোবলেও আঘাত লাগত। মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন তেমনটা হয়তো করবেন না। কিন্তু ডার্বির আগের অনুশীলনে অনূর্ধ্ব-২২ প্লেয়ার নিয়েই রেখে গেলেন ধোঁয়াশা। তবে কোচের পছন্দের ব্রেন্ডনেরই প্রথম দলে সুযোগ পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
গোলে অধিনায়ক শিলটন পালকে পিছনে ফেলে আবার মোহনবাগানের শেষ রক্ষণকে ভরসা দিতে ফিরে এসেছেন দেবজিৎ। আই লিগের প্রথম দু’ম্যাচে জয় পেলেও মোহনবাগানকে সমস্যায় ফেলেছে রক্ষণ। সেম সাইড থেকে খারাপ গোল হজম সবই ছিল এই তালিকায়। স্টপার কিংশুকের পাশে অবশ্য রন্টিকে আটকাতে থাকছেন লুসিয়ানো সাব্রোসা। ম্যাচের দিন সকালেই ফাইনাল দল বেছে থাকেন বাগান কোচ। সেক্ষেত্রে মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ডে একটি করে পরিবর্তন করতে পারেন তিনি।
ভাল চেহারার জন্য মাঝমাঠে প্রণয় হালদার থাকছেনই। সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তী না বিক্রমজিৎ সিংহ সেটা সকালেই ঠিক করবেন কোচ। ফরোয়ার্ডে গ্লেনের পাশে বলবন্ত সিংহরই আসার সম্ভবনা বেশি থাকলেও পঞ্জাবি স্ট্রাইকারের চোট রয়েছে। সকালে বলবন্তের চোট দেখে নিয়েই জেজেকে খেলানো হবে কি না সিদ্ধান্ত হবে। দু’জনেই রয়েছেন সেরা ফর্মে। সনি নর্ডিও তৈরি। কাটসুমি বা সনির মধ্যে একজনকে বেঞ্চে রেখে শুরু করে পাঁচ মিনিট পরে অনূর্ধ্ব-২২কে তুলে তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
মোহনবাগানের সম্ভাব্য দল: দেবজিৎ মজুমদার, প্রীতম কোয়াল, কিংশুক দেবনাথ, লুসিয়ানো সাব্রোসা, ধনাচন্দ্রা সিংহ, কাটসুমি ইউসা, সৌভিক চক্রবর্তী/বিক্রমজিৎ, প্রণয় হালদার, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, কর্নেল গ্লেন, বলবন্ত সিংহ/জেজে।
আরও খবর: বলবন্তের চোটেও সঞ্জয় চিন্তিত নন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy